শেষ আপডেট: 9th December 2024 14:55
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আসামিকে পিটিয়ে মারার ঘটনায় কারা জড়িত, বিষ্ণুপুর থানা, নাকি বারুইপুর জেল কর্তৃপক্ষ, সেই প্রশ্নের উত্তর চায় কলকাতা হাইকোর্ট। এই ইস্যুতে এক সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট তলব করেছেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ।
গফুর মোল্লা নামের এক যুবক (৩২)-কে বেআইনি মদ বিক্রির অভিযোগে গত বছর ২৮ আগস্ট গ্রেফতার করে রাজ্য আবগারি দফতর। তাঁকে বিষ্ণুপুর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর তাঁকে আদালতে তোলা হলে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। সেখানে অসুস্থ হলে ১ সেপ্টেম্বর হাসপাতালে ভর্তি করা হয় গফুরকে। পরের দিন সেখানেই মারা যান তিনি।
এই ঘটনার পরই তাঁকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। পরিবারের দাবি, গফুরকে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে। তাঁর ছেলে কলকাতা হাইকোর্টে এই অভিযোগ তুলেই মামলা করেছিলেন। সোমবার বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ মৃতের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট সহ যাবতীয় নথি খতিয়ে দেখে পুলিশকে মৃতদেহ সম্পর্কে তাদের বক্তব্য জানানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন।
রিপোর্ট পাওয়ার পর কার্যত আরও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে আদালত। বিচারপতির বক্তব্য, দেহে ক্ষত ছিল বলে রিপোর্ট দিয়েছে পুলিশ। রাজ্যেও রিপোর্ট দিয়ে জানাচ্ছে দেহে মারধরের চিহ্ন আছে। তাহলে এই ঘটনা কে ঘটালো তা কেন ধরা যাচ্ছে না, এটা বিস্ময়ের। বিচারপতির স্পষ্ট কথা, যে এই কাজ করেছে তাঁকে দ্রুত সম্ভব গ্রেফতার করতে হবে।