শেষ আপডেট: 13th August 2024 16:06
দ্য ওয়াল ব্যুরো: দুপুর একটার মধ্যে আরজি কর কাণ্ডে কেস ডায়েরি জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। রাজ্যের জমা দেওয়া কেস ডায়েরি দেখার পর সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট।
হাইকোর্ট এও জানিয়েছে, মঙ্গলবার বিকেল থেকেই তদন্তের কাজ শুরু করবে সিবিআই। অর্থাৎ আদালতের নির্দেশের পরে আরজিকরে ছাত্রী খুনের ঘটনায় কলকাতা পুলিশ আর কোনও তদন্ত করতে পারবে না।
তদন্তে কলকাতা পুলিশের ভূমিকায় আদালত যে সন্তুষ্ট নয়, তাও স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। এদিন মামলার শুনানিতে আরজিকরের মেডিক্যাল এবং কলকাতা পুলিশের ভূমিকা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন ওঠে। এরপরই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি মৃতের পরিবারের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।
আদালত জানিয়েছে, তিন সপ্তাহের পর মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। ওই দিন আদালতে প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দিতে হবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে।
গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে আরজিকর হাসপাতালের চারতলার সেমিনার হলে নৃশংসভাবে খুন করা হয় মেডিক্যালের ছাত্রীকে। ওই ঘটনায় এদিন কলকাতা হাইকোর্টে মোট পাঁচটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। মৃতার পরিবারও আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল।
ওই মামলার শুনানিতে মঙ্গলবার আরজিকর মেডিক্যালের পাশাপাশি কলকাতা পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম। ঘটনার পর পুলিশের তরফে মৃত ছাত্রীর পরিবারকে জানানো হয়েছিল,, এটি আত্মহত্যার ঘটনা। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে না পাওয়ার আগেই পুলিশ কীভাবে ছাত্রীর রক্তমাখা দেহকে আত্মহত্যা বলে চালাতে চেয়েছিল, কাকে আড়াল করার চেষ্টা তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।
ঘটনার পর মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষ কেন পুলিশের কাছে মামলা দায়ের করলেন না, সেই প্রশ্ন ওঠে। পুলিশ কেন অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ারের পরিচয় প্রথমে গোপন রেখেছিল? কাকে বাঁচাতে চেষ্টা করছে প্রশাসন? শুনানিতে উঠে আসে আরও একাধিক প্রশ্ন। এরপরই কলকাতা পুলিশের কাছে ঘটনার কেস ডায়েরি ও তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে রিপোর্ট চেয়েছিল হাইকোর্ট।
সূত্রের খবর, ওই রিপোর্ট দেখে স্তম্ভিত হয়ে যান প্রধান বিচারপতি। এরপরই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ জারি করেছে আদালত।