'আপনি কি চান সেন্ট্রাল ফোর্স ডাকব?' যাদবপুর নিয়ে মামলায় মন্তব্য প্রধান বিচারপতির

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: 5th March 2025 13:11

• Join our Whatsapp Channel

'আপনি কি চান সেন্ট্রাল ফোর্স ডাকব?' যাদবপুর নিয়ে মামলায় মন্তব্য প্রধান বিচারপতির

দ্য ওয়াল ব্যুরো: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) ঘটনা নিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। দ্রুত শুনানির আর্জি জানানো হয়েছিল তবে বুধবার তা খারিজ করে দিলেন প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম। স্পষ্ট জানালেন, যাদবপুরের বর্তমান পরিস্থিতিতে হস্তক্ষেপ করতে রাজি নন তিনি। 

মামলাকারী আইনজীবী অর্ক নাগের দাবি ছিল, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি যাতে দূর স্বাভাবিক হয় তার জন্য হাইকোর্ট অবিলম্বে হস্তক্ষেপ করুক। কিন্তু প্রধান বিচারপতির সাফ বক্তব্য, "আইনশৃঙ্খলা দেখার দায়িত্ব রাজ্যের। রাজ্য পুলিশই পরিস্থিতি সামলাবে।'' এর পাল্টা আইনজীবী জানান, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গেটের মুখে তাদের নিরাপত্তারক্ষী দাঁড় করিয়ে রেখেছে। রাজ্য পুলিশকে ভিতরে ঢুকতে দিচ্ছে না। 

আইনজীবীর আরও দাবি, প্রতিদিন পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে।বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বুধবার যদি বিশ্ববিদ্যালয়ে না আসেন তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে ছাত্র-ছাত্রীরা হুঁশিয়ারি দিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় অকেজো করে দেওয়া হবে বলে দাবি তাঁর। যদিও প্রধান বিচারপতি এই যুক্তি মানতে চাননি। তাঁর প্রশ্ন, ''আপনি কি চাইছেন সেন্ট্রাল ফোর্সকে দায়িত্ব দেব?'' পাশাপাশি বলেন, ''এটা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দায়িত্ব তারা কী করবে, না করবে। একটা ঝামেলা হয়েছে। সংবাদপত্রে দেখলাম তা অনেকটাই মিটেছে। পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক।'' 

প্রধান বিচারপতির যুক্তি, এইসব ক্ষেত্রে তৃতীয় পক্ষ হস্তক্ষেপ না করলেই ভাল। তাঁর কথায়, ''বিশ্ববিদ্যালয় ইউজিসি-র নির্দিষ্ট নিয়মে চলে। আদালত কি বিশ্ববিদ্যালয়কে বলতে পারে তুমি গেটের চাবি এখন তৃতীয় পক্ষ কাউকে দাও, আর সন্ধেবেলা ফেরত নিয়ে নাও? আমার মনে হয়, নিজে থেকেই সমস্যা মিটে যাবে।'' এই বলে তিনি জরুরি ভিত্তিতে এই মামলার শোনার আর্জি খারিজ করেছেন। জানিয়েছেন, স্বাভাবিকভাবে লিস্টে যখন আসবে, তখন শুনবেন। 

গত শনিবার রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখানো হওয়ার সময় থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশৃঙ্খলার সূত্রপাত। অভিযোগ, সেই সময়ে উপাচার্য আহত হন এবং দুই ছাত্রও গুরুতর চোট পান। এক পড়ুয়ার অভিযোগ, শিক্ষামন্ত্রীর গাড়ি তাঁকে চাপা দিয়েছে, অন্য পড়ুয়ার পায়ের উপর দিয়ে গাড়ির চাকা চলে গিয়েছে। এরপর থেকেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর। প্রসঙ্গত বুধবারই বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনার জন্য বিকেল ৪টা পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে। তাঁরা জানিয়েছে, যদি উপাচার্য নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তাঁদের সঙ্গে কথা না বলেন, তবে বৃহত্তর আন্দোলনে নামবেন। তবে উপাচার্য অসুস্থ হয়ে বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।