শেষ আপডেট: 7th October 2024 13:08
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ধর্মতলায় আমরণ অনশনে বসেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। রাস্তার অনেকটা জায়গা আটকে অনশনে বসেছেন তাঁরা। রাস্তা ছেড়ে দিয়ে বা রাস্তার পাশে বসার নির্দেশ দেওয়া হোক, এই আর্জি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন এক বিচারপতি। কিন্তু এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করল না উচ্চ আদালত।
হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম জানান, এই মামলা যেহেতু সুপ্রিমকোর্টে বিচারাধীন, তাই এই বিষয়ে এখনই কোনও হস্তক্ষেপ করা যাবে না বলে জানিয়ে দেন তিনি। ওই আইনজীবীর আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেছিলেন, ওই রাস্তার অনেকটা জায়গা জুড়ে অনশনে বসেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। যে কারণে পথচলতি মানুষ তো বটেই, গাড়ি চলাচলেও অসুবিধে হচ্ছে। তাই তাঁরা যেন রাস্তার পাশে গিয়ে বসেন বা অন্য রাস্তায় তাঁদের অবস্থান চালান। কিন্তু সেই কথায় গুরুত্ব দিল না হাইকোর্ট।
প্রসঙ্গত, রাজ্যকে দাবি পুরণের জন্য ২৪ ঘণ্টার সময়সীমা দিয়েছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। কিন্তু তা পার হয়ে গেলেও কোনও সদত্তুর আসেনি সরকারের পক্ষে, এমনটাই অভিযোগ ছিল তাঁদের। এরপরই কথা মতো, অনশনে বসেন জুনিয়র ডাক্তাররা। প্রথম দফায় ৬ জন জুনিয়র ডাক্তার অনশনে বসছিলেন। যদিও এই ছ'জনের মধ্যে আরজি কর হাসপাতালের কেউ তখনও অবধি ছিলেন না। কিন্তু রবিবার রাতে সেই অনশনে যোগ দেন আর্জি কর হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তার অনিকেত মাহাতো।
মহালয়া থেকে উৎসবমুখী হয়েছে মানুষ। কিন্তু জুনিয়র ডাক্তাররা বলছেন, এই আন্দোলন জটটা তাঁদের, ততটাই আমজনতার। যারা উৎসবে ফিরছেন সেটা তাঁদের ব্যক্তিগত ব্যাপার কিন্তু তাঁদের উৎসবে ফেরার মানসিকতা একদমই নেই। তাঁরা অনশন চালিয়ে যাবেন যতদিন না পর্যন্ত তাঁদের দাবি পূরণ হচ্ছে।