শেষ আপডেট: 12th March 2025 15:35
দ্য ওয়াল ব্যুরো: গত ১ মার্চ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) অশান্তির ঘটনায় তদন্তে নামার পর থেকে পুলিশ তলবের নামে হেনস্থা করছে! এই অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মামলা করেছিলেন যাদবপুরের এক পড়ুয়া উদ্দীপন কুণ্ডু (Uddipan Kundu)। বুধবার সেই মামলার শুনানিতে তাঁকে স্বস্তি দিল না আদালত। স্পষ্ট বলা হয়েছে, তদন্তে সহযোগিতা করতে হবে তাঁকে।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ছাত্রের বিরুদ্ধে এফআইআর রয়েছে। সেই প্রেক্ষিতেই তাঁকে তলব করে পুলিশ। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের পর্যবেক্ষণ, অভিযুক্ত হিসেবে নাম থাকা ওই ছাত্রকে কোনও রকম স্বস্তি দিলে খারাপ বার্তা যেতে পারে। তাই আদালত এখনই হস্তক্ষেপ করবে না। বিচারপতি জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে স্থগিতাদেশ দেওয়া যাবে না। কোনও অন্তর্বর্তী নির্দেশও দেবেন না তিনি। আগামী ৪ এপ্রিল এই মামলার পরবর্তী শুনানি। সেই দিন সব পক্ষের হলফনামা চেয়েছে হাইকোর্ট।
বুধবার এই মামলার শুনানিতে উদ্দীপন কুণ্ডুর আইনজীবী শামীম আহমেদ জানান, পুলিশের সঙ্গে সহযোগিতা করা হচ্ছে। কিন্তু তাঁর মক্কেলের বিরুদ্ধে ভুল অভিযোগ উঠছে। তাঁর বক্তব্য, নির্দেশ মেনে মোবাইল জমা করা হয়েছিল, কিন্তু তা সত্ত্বেও অসহযোগিতার অভিযোগ করা হচ্ছে। পরের দিন আবার নোটিস পাঠানো হচ্ছে। এই ইস্যুতে বিচারপতি ঘোষ বলেন, ছাত্রকে যাতে আর মোবাইল না কিনতে হয় সে বিষয়টি নিশ্চিত করবে পুলিশ। দরকারে তা জমা নিলেও ফেরত দিতে হবে।
গত ১ মার্চ ওয়েবকুপার সভাকে ঘিরে রণক্ষেত্রের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন একাংশ পড়ুয়া। সে সময় মন্ত্রীর গাড়ি ইন্দ্রানুজ রায় নামে এক পড়ুয়ার গায়ের ওপর দিয়ে চলে যায় বলে অভিযোগ ওঠে। এদিকে শুরুতে ছাত্রদের বিরুদ্ধেই মামলা করেছিল পুলিশ। এ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। তারপরই আদালতের নির্দেশে পুলিশ শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, তাঁর চালক-সহ একাধিকজনের নামে এফআইআর দায়ের করে।