শেষ আপডেট: 10th December 2024 19:34
দ্য ওয়াল ব্যুরো: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মেয়ের মামলায় অভিযুক্তদের লকআপে মারধরের অভিযোগের ইস্যুতে সিবিআই নয়, সিটে ভরসা রেখেছিল সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু সিটের তরফে মঙ্গলবার যে রিপোর্ট দেওয়া হয়েছিল তা গ্রহণ করেনি কলকাতা হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার এই ঘটনায় যে তদন্তকারী আধিকারিক এই মামলা সংক্রান্ত রিপোর্ট হাইকোর্টে জমা দিয়েছেন, তিনি সিটের সদস্য নন! অথচ তাঁকে এই ঘটনার তদন্তকারী আধিকারিকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এই বিষয়েই ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি ও গৌরাঙ্গ কান্তের ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি বাগচির মন্তব্য, ''এই পদক্ষেপ আদালতের নির্দেশ অবমাননা করার পর্যায়ে পড়ে।''
সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, সিটের তদন্তের উপর নজর রাখবে আদালত। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিকে একটি বেঞ্চ গঠনেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তবে বলা হয়েছিল, রাজ্য পুলিশ ব্যর্থ হলে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হবে। এদিকে মঙ্গলবার সিটের রিপোর্ট জমা না নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি বলেছেন, ''শীর্ষ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী এই ঘটনায় দ্রুত তদন্ত করতে বলা হয়। সিট কী ভাবে অন্য কাউকে তদন্তকারী আধিকারিক হিসেবে যুক্ত করল? এটাই কি বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিটের ক্ষমতা?''
হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, শীর্ষ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী সিটের সদস্যরা সহযোগী হিসেবে পুলিশ আধিকারিকদের নিযুক্ত করতে পারেন। কিন্তু তদন্তকারী আধিকারিক হিসেবে নয়। আর এই ঘটনায় সাইবার ক্রাইম বা বাজেয়াপ্ত হওয়া মোবাইলের ফরেন্সিকের জন্য যথাযথ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত আধিকারিকের দরকার। সেক্ষেত্রে ওই অফিসারকে তদন্তকারী আধিকারিক হিসেবে কী ভাবে নিয়োগ করা হল, সেই প্রশ্ন তুলেছে আদালত। একই সঙ্গে নির্দেশ, এক সপ্তাহের মধ্যে নতুন করে আদালতে রিপোর্ট দিতে হবে সিটকে।
গত সেপ্টেম্বরে বিজেপির একটি মিছিল থেকে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মেয়ের নামে কুরুচিকর মন্তব্য করার অভিযোগ ওঠে। ঘটনার তদন্তে নেমে গত ৭ সেপ্টেম্বর ফলতা থানা পকসো মামলায় তাঁদের গ্রেফতার করে। পুলিশি হেফাজতে তাঁদের ওপরে অত্যাচারেরও অভিযোগ উঠেছিল। এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। তবে হাইকোর্টের দেওয়া সিবিআই তদন্তের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল রাজ্য সরকার।