ব্যবসায়ীকে অপহরণ করা গাড়ি
শেষ আপডেট: 23rd September 2024 18:18
দ্য ওয়াল ব্যুরো: দিনদুপুরে কলকাতার ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে মালদহে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ! পরে মুক্তিপণ চেয়ে গড়ফার ব্যবসায়ীর স্ত্রীকে ফোন করতেই মুশকিল আসান কলকাতা পুলিশের।
অভিযোগ পেয়েই ঘটনার তদন্তে নেমে কলকাতা পুলিশের অ্যান্টি রাওডি সেকশন (ARS), গোয়েন্দা বিভাগ, গরফা থানা ও মালদহ জেলা পুলিশের প্রচেষ্টায় মালদহের মোথাবাড়ি থেকে কলকাতার ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করা হয়। ঘটনায় ইতিমধ্যে ৬ অপহরণকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ঠিক কী ঘটেছিল?
ঘটনার সূত্রপাত রবিবার সকালে। পুলিশ সূত্রে খবর, রবিবার সকাল ৭.৩০ নাগাদ অনির্বাণ হাজরা নামে ওই ব্যবসায়ী ধনেখালিতে নিজের কারখানায় যাওয়ার জন্য রুবির বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। এরপর তিনি কসবায় পৌঁছে একটি গাড়িতে ওঠেন। তারপরই ওই ব্যবসায়ীকে অপহরণের অভিযোগ ওঠে।
স্বামীকে খুঁজে না পেয়ে রবিবারই থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ব্যবসায়ীর স্ত্রী। এরপরই ব্যবসায়ীর নাগাল পেতে ময়দানে নামে পুলিশ। রীতিমতো মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন ও সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে ব্যবসায়ীর হদিশ পায় পুলিশ। এরপর আর এক মুহূর্ত দেরি না করে মালদহে পৌঁছে কলকাতার ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করে পুলিশ।
সোমবার দুপুরে ডিসি এসএসডি বিদিশা কলিতা সাংবাদিক সম্মেলন করে জানান, “রবিবার খবর পাওয়ার সঙ্গেই ডিটেকটিভ ডিপার্টমেন্ট, গড়ফা থানা এবং অ্যান্টি রাউডি সেকশনের পুলিশ আধিকারিকরা তদন্তে নামেন। অপহৃত ব্যবসায়ীর স্ত্রী গড়ফা থানায় অভিযোগ দায়েরের পরই পুলিশ তৎপর হয়। ব্যবসায়ীর স্ত্রী পুলিশকে জানিয়েছেন রবিবার দুপুর ২.৩০ নাগাদ তাঁর স্বামীর সঙ্গে শেষবারের মতো কথা হয়। এরপর সন্ধ্যে ৬.৪৫ নাগাদ ফোন করে কুড়ি লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চাওয়া হয়”।
বিদিশা আরও জানান, খবর পেয়েই গড়ফা থানা এবং লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগের একটি দল তদন্ত শুরু করে। পুলিশ খবর পায় মালদহের মোথাবাড়ি নামের একটি জায়গায় ব্যবসায়ী অনির্বাণকে অপহরণ করে রাখা হয়েছে। এরপর কলকাতা পুলিশ এবং মালদহ পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে অনির্বাণকে উদ্ধার করে। ঘটনায় ৬ জন অপহরণকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পাশাপাশি গাড়িটিকেও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, ব্যবসায়িক শত্রুতার কারণেই অনির্বাণকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে কসবা থানা। ৬ অপহরণকারীকে জেরা করছে পুলিশ।