শেষ আপডেট: 22nd January 2025 13:43
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বাঘাযতীন, কামারহাটির পর এবার নির্মীয়মাণ বাড়ি হেলে পড়ল ট্যাংরায়। জানা গেছে, বাড়ির কাজ এখনও সম্পূর্ণ হয়নি। বুধবার সকালে আচমকা ক্রিস্টোফার রোডের বাড়িটি হেলে পড়তে দেখে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
তবে কীভাবে ১১/২ ক্রিস্টোফার রোডের ওই নির্মীয়মাণ বহুতল হেলে পড়ল তা এখনও জানা যায়নি। তবে জি প্লাস ফাইভটি নির্মীয়মাণ হওয়ায় সেখানে কেউ ছিলেন না বলে খবর। সে কারণে হতাহতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি। এদিন ক্রিস্টোফার এলাকার যে ছবি উঠে এসেছে সেখানে দেখা যাচ্ছে, এক হাত দূরত্বে থাকা পাশের একটি বাড়ির দিকে হেলে পড়ে। দু'টো বহুতলের মাঝে কোনওরকম জায়গা না রাখার অভিযোগ উঠেছে। নির্মীয়মাণ বিল্ডিংয়ের প্রোমটারের নাম ও পরিচয় এখনও জানা যায়নি। যদিও খবর পেয়েই তৎপর কলকাতা পুরসভা। জানা গেছে, বিষয়টি কানে যেতেই ৫৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার সন্দীপন সাহা কলকাতা পুরসভাকে পুরো বিষয়টি জানিয়েছেন। কলকাতা পুরসভার কর্মীরা বাড়িটি পরীক্ষা করে দেখেছেন।
বুধবার সকালে বিষয়টি স্থানীয়দের নজরে আসতেই রীতিমতো হইচই পড়ে যায়। কীভাবে এমন ঘটনা ঘটল, যদি দুর্ঘটনায় কারও প্রানহানি হত তার দায় কে নিত এমনই সব প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। জানা গেছে, দুদিন আগে ধাপা অঞ্চলের পাঁচকড়ি মোড় এলাকার ওই বহুতল হেলে পড়ে। খবর পেয়ে পুরসভার বিল্ডিং বিভাগের ইঞ্জিনিয়াররা জায়গাটি পরিদর্শনেও যান। তবে বুধবার সেটি আরও বিপজ্জনক হয়ে পড়ায় আজ চূড়ান্ত ইন্সপেকশন হবে বলে কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর।
গত ১৪ জানুয়ারি বাঘাযতীনে হেলে পড়ে একটি বহুতল। ধসে যায় ফ্ল্যাটটির একাংশ। হাইড্রোলিক জ্যাক দিয়ে বাড়িটি উঁচু করা হচ্ছিল বলে জানা যায়। অন্যদিকে মঙ্গলবারই কামারহাটির সাত নম্বর ওয়ার্ডের ধুবিয়াবাগান এলাকায় আচমকাই তিন তলা বিল্ডিং হেলে পড়ে। স্থানীয় সূত্রে খবর, ছয় থেকে সাত মাস ধরে এই বিল্ডিংয়ের কাজ হচ্ছিল। প্রোমোটার বিক্কু বিল্ডিংটি নির্মাণ করছেন বলে খবর। এলাকাবাসী সূত্রে খবর, বিল্ডিংয়ের পাশে একটি স্কুল আছে। এমনকী, নতুন কোনও বিল্ডিং তৈরি হলে যে নিয়ম মানতে হয়, তাও মানা হয়নি বলে দাবি এলাকাবাসীদের। প্রোমোটার চায়না কোম্পানিকে ডেকে হাইড্রোলিক পদ্ধতিতে বিল্ডিং সোজা করার পরিকল্পনা করছিলেন। তাতে আরও হেলে পড়ে বাড়িটি বলে দাবি।