শেষ আপডেট: 23rd July 2024 18:10
দ্য ওয়াল ব্যুরো: রেল মন্ত্রক কোনও মহানগরের মেট্রো রেল প্রকল্প অনেক দিন ধরেই নিজের ঘাড়ে নিচ্ছে না। তার কারণ হল, মূলধন খাতে এত লগ্নির টাকা রেলের নেই। তাই অধিকাংশ মেট্রোপলিটন শহরে মেট্রো রেল চলছে সরকারি-বেসরকারি যৌথ উদ্যোগে। তাই ভাড়াও সেখানে বেশি। সেই তুলনায় বলা যেতে পারে কলকাতা ভাগ্যবান যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন রেলের অধীনেই এই শহরের জন্য মেট্রো প্রকল্পের ঘোষণা করেছিলেন।
মমতার ঘোষণা করা দুই মেট্রো রেল প্রকল্প খাতে বাজেটে ভালই অর্থ বরাদ্দ করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। এদিন নির্মলার ঘোষণার পর বাজেট নথি থেকে জানা যাচ্ছে, দমদম বিমানবন্দর থেকে রাজারহাট হয়ে নিউ গড়িয়া পর্যন্ত মেট্রো প্রকল্পের বরাদ্দ করা হয়েছে ১৭৯১ কোটি ৩৯ লক্ষ টাকা। গত আর্থিক বছরে এই প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছিল ১৭০০ কোটি টাকা।
জোকা থেকে মাঝেরহাট হয়ে বিবাদী বাগ পর্যন্ত মেট্রো প্রকল্পে গত আর্থিক বছরে অর্থাৎ ২০২৩-২৪ বছরে বরাদ্দ করা হয়েছে ৮৫০ কোটি টাকা। ২০২৪-২৫ আর্থিক বছরের জন্য তা এক ধাক্কায় সাড়ে তিনশ কোটি টাকা বাড়ালেন নির্মলা। এই মেট্রো প্রকল্প খাতে বরাদ্দ করা হয়েছে ১২০৮ কোটি ৬১ লক্ষ টাকা।
লোকসভা ভোটের আগে অন্তবর্তী বাজেট ঘোষণা করেছিলেন নির্মলা সীতারামন। সেই সময়েই এক প্রস্ত ঘোষণা করে রেখেছিলেন তিনি। বরানগর থেকে বারাকপুর ও দক্ষিণেশ্বর মেট্রো প্রকল্পের কাজ অনেকটাই এগিয়ে গেছে। এই প্রকল্পের জন্য বাজেটেও আগের মত ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। আবার নোয়াপাড়া থেকে বিমানবন্দর হয়ে বারাসত পর্যন্ত মেট্রো প্রকল্পের জন্য অন্তর্বর্তী বাজেটে ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করে রেখেছিলেন নির্মলা সীতারামন। গত আর্থিক বছরে এই প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ হয়েছিল ৩০৪ কোটি টাকা।
এ ছাড়া কলকাতা মেট্রো রেল কর্পোরেশনের জন্য বাজেটে ৯০৬ কোটি বরাদ্দ করা হয়েছে। রেল কর্তাদের মতে, বরাদ্দের বহরটা দেখে একটা বিষয় স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে। তা হল, সরকার অগ্রাধিকার স্থির করে ফেলেছে। বিমানবন্দর থেকে রাজারহাট হয়ে নিউ গড়িয়া পর্যন্ত মেট্রোর কাজ অনেকটা এগিয়ে গেছে। নিউ গড়িয়া থেকে রুবির মোড় পর্যন্ত লাইন ও স্টেশনের কাজ শেষ হয়ে গেছে। এবার রুবির মোড় থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত কাজের যে গ্যাপ রয়েছে সেটা দ্রুত শেষ করতে চাইছে রেল। সেই কারণেও পর পর দু’বছরে সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হল।
একই ভাবে জোকা-বিবাদী মেট্রোর জন্যও পর পর দু’বছরে ২ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হল। অর্থাৎ এই দুই মেট্রো প্রকল্পের কাজ দ্রুত শেষ করার লক্ষ্য রয়েছে রেল মন্ত্রকের। না হলে যত সময় পেরিয়ে যাচ্ছে, মুদ্রাস্ফীতির কারণে ততই প্রকল্প বাবদ খরচও বেড়ে যাচ্ছে।