শেষ আপডেট: 22nd August 2024 14:48
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে বুধবার থেকেই শ্যামবাজারে টানা ৫ দিন ধর্না কর্মসূচির আয়োজন করেছে বিজেপি। বৃহস্পতিবার তাঁদের তরফে স্বাস্থ্যভবন অভিযান করা হল। রাজ্যের সব বিজেপি বিধায়ক, সাংসদ থেকে শুরু করে সাধারণ কর্মীরা এই অভিযানে সামিল হন।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বে এই স্বাস্থ্যভবন অভিযান হয়। উল্টোডাঙার হাডকো মোড় থেকে এই মিছিল শুরু করে বিজেপি। দলের নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ''মানুষের আওয়াজকে জলকামান নিয়ে বন্ধ করা যাবে না। যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী একজন মহিলা, সেখানে মহিলাদের সঙ্গেই এমন নৃশংস ঘটনা ঘটছে। সুপ্রিম কোর্ট যে কথা বলেছে তারপর পশ্চিমবঙ্গের মানুষ হিসেবে লজ্জা করছে।'' তিনি এও বলেন, এই ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোটি কোটি টাকা খরচ করে উকিল ঠিক করছেন। সেই টাকা সাধারণ মানুষের করের টাকা।
লকেটের দাবি, সুপ্রিম কোর্ট যে কথা বলেছে তাতে পরিস্কার তাঁরা বাংলার পুলিশ এবং সরকারকে বিশ্বাস করতে পারছে না। শীর্ষ আদালত বলেছে, গত ৩০ বছরে এমন ঘটনা দেখেনি তাঁরা। বাঙালি হিসেবে এই কথা শুনে লজ্জা লাগছে বলে দাবি লকেটের। অন্যদিকে, দিলীপ ঘোষ বলেছেন লক্ষ্মীর ভান্ডার দিয়ে রাজ্যের মহিলাদের মুখ বন্ধ করার চেষ্টা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তিনি পারেননি। আজ সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমেছেন।
এর আগে গত মঙ্গলবার একই দাবিতে স্বাস্থ্যভবন অভিযানে নেমেছিল সঙ্ঘের ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (এবিভিপি)। ওই অভিযানকে ঘিরে সেদিন রণক্ষেত্রর চেহারা নিয়েছিল সল্টলেক। প্রথমে সেখানেই বসে স্লোগান দিতে শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। পরে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে এবিভিপির সদস্যরা এগোতে চাইলে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি বেঁধে যায়। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোড়া হয়। পাল্টা লাঠিচার্জও করে পুলিশও। ঘটনাকে ঘিরে সমগ্র এলাকা কার্যত রণক্ষেত্রর চেহারা নেয়।