শেষ আপডেট: 3rd March 2025 12:32
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ভূতুড়ে ভোটারের (Fake Voters) ইস্যু নিয়ে নেতাজি ইনডোরের সভা থেকে কড়া নির্দেশ দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সেই নির্দেশের পর তাঁরই বিধানসভা কেন্দ্র অর্থাৎ ভবানীপুরে (Bhowanipore) শনিবার দলবল নিয়ে স্ক্রুটিনির কাজ শুরু করেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। সোমবার তৃণমূলের সেই কর্মসূচির পাল্টা কর্মসূচি শুরু করল বিজেপি। তাঁরাও কাজ শুরু করেছে ভবানীপুর থেকেই।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভূতুড়ে ভোটের ইস্যুতে যে অভিযোগ করেছেন তা মিথ্যে বলে দাবি করেছে বিজেপি। বরং তাঁদের বক্তব্য, বেছে বেছে বিরোধী ভোটারদের নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার ষড়যন্ত্র করছে তৃণমূল। তাই এই স্ক্রুটিনির কাজ শুরু হয়েছে। সেই কারণেই এখন দক্ষিণ কলকাতা জেলা বিজেপি ভবানীপুর থেকেই তাঁদের পাল্টা কর্মসূচি নিয়েছে। তাঁদের আশঙ্কা, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে বহু বিরোধী দলের নেতার নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দিয়ে দেবে তৃণমূল।
গেরুয়া শিবির এই কর্মসূচি শুরু করে সাধারণ মানুষকে বার্তা দিয়েছে, যদি কারও ভোটার তালিকায় নাম বাদ যায়, বা কেউ তালিকায় নাম তুলতে গেলে সমস্যার মুখে পড়েন, তাহলে যেন তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। দক্ষিণ কলকাতা বিজেপির তরফে জেলার সর্বস্তরের নেতাদের এই বার্তা দেওয়া হয়েছে। সঙ্গে দেওয়া হয়েছে একটি মোবাইল নম্বর। সেটি জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক ইন্দ্রজিৎ খটিকের। তিনি জানিয়েছেন, শুধু ভবানীপুর নয়, রাসবিহারী, চেতলা সহ বেহালার বিস্তৃর্ণ অঞ্চলেও এই কর্মসূচি শুরু করেছেন তাঁরা।
বিজেপির দাবি, গত লোকসভা নির্বাচনে একাধিক বিধানসভায় আশানুরূপ ফল করেনি তৃণমূল। সেই কারণেই ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে স্ক্রুটিনি শুরু করে ভোটার ছেঁকে নেওয়ার চেষ্টা করছে তাঁরা। যাদের নাম বাদ যাবে তাদের হয়ে পাল্টা প্রতিবাদের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি।
তৃণমূলের তরফে জানানো হয়েছে, ভোটার তালিকায় মৃত কারও নাম রয়ে গেছে নাকি, সে সংক্রান্ত তথ্য খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এরপরে নির্বাচন কমিশনে রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে। শনিবার এই কর্মসূচির পর ফিরহাদ জানিয়েছিলেন, "তিন-চারটে নাম পেয়েছি যাঁদের ভোটার তালিকায় নাম আছে। তাঁরা এখানে থাকেন না অথচ নাম আছে। কিছু আছে যাঁদের এখানে কোনও অস্তিত্ব নেই। এই পাড়ায় আমি বড় হয়েছি, জন্মেছি, অথচ কখনও দেখিনি, এমন তিন-চারজনের নাম পেলাম।" সব তথ্য নির্বাচন কমিশনে রিপোর্ট আকারে জমা দেওয়া হবে বলেই জানান তিনি।