শেষ আপডেট: 31st January 2025 16:47
দ্য ওয়াল ব্যুরো: যোগেশচন্দ্র কলেজে সরস্বতী পুজো করতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের এক ছাত্র নেতার বিরুদ্ধে। সেই ঘটনার জল গড়ায় কলকাতা হাইকোর্ট পর্যন্ত। আদালত নির্দেশ দিয়েছে, যুগ্ম কমিশনার পদমর্যাদার আধিকারিকের নজরদারিতে সরস্বতী পুজো হবে কলেজে। এই ঘটনায় মুখ খুলেছেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে কলেজের ছাত্রী ছিলেন সেই কলেজে সরস্বতী পুজোয় বাধা দেওয়ার ঘটনা মানতে পারছেন না বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, যদি এমন হুমকি কেউ দিয়ে থাকে এবং সে কলেজের ছাত্র হয়, তাহলে কর্তৃপক্ষের উচিত কড়া ব্যবস্থা নেওয়া। স্পিকারের বক্তব্য, ''আমি জানি না কেন এমন কথাবার্তা বলা হয়েছে। আমি দেখেছি যখনই পশ্চিমবঙ্গে কোনও উৎসব হয় তখনই কোনও একটা অংশ থেকে আওয়াজ ওঠে এখানে নাকি পুজো করতে দেওয়া হয় না।''
যে ছাত্র নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ তাঁকে হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল যে সে কলেজে ঢুকতে পারবে না। এদিকে সেই ছাত্রেরই বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠেছে। আবার কলেজের অধ্যক্ষের কথায়, ওই ছাত্রকে ভয় পায় অনেকেই। তিনিও নিজে কলেজে ঢুকতে ভয় পান। বিষয়টি নিয়ে বিমানের বক্তব্য, ''সরকার দুর্বল নয় যে এমন এক ছাত্র নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবে না। আর হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করা হলে তো আদালতই ব্যবস্থা নিতে পারে। সেটাই উচিত। কলেজ কর্তৃপক্ষও শক্তিশালী হোক।''
মূল ঘটনা হল, দু'টি কলেজের ছাত্ররা প্রত্যেক বছর দু'টি আলাদা জায়গায় আলাদা করে পুজো করেন। এ বছর এমন একটি প্যান্ডেল বানানো হয় যাতে আইন কলেজের পড়ুয়ারা ক্লাসে যেতে পারছেন না বলে অভিযোগ ওঠে। এর পরই বহিরাগতরা পুজোয় বাধা দিচ্ছে এই মর্মে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। পরে আদালতের কাছে যায় বিষয়টি।
কলকাতা হাইকোর্টের স্পষ্ট নির্দেশ, পুজো এবং বিসর্জন ঘিরে যাতে কোনও সমস্যা না হয় তার জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যায় সশস্ত্র পুলিশকর্মী নিয়োগ করতে হবে।