শেষ আপডেট: 16th March 2025 19:57
দ্য ওয়াল ব্যুরো: গত বছর ডিসেম্বরের শেষের দিকে বিক্রমগড় ঝিল (Bikramgarh Lake) সংস্কারের কাজ সাময়িকভাবে শুরু হয়েছিল ঠিকই, কিন্তু পরে ফের ভাঁটা পড়ে। কলকাতা পুরনিগমের ৯৩ ও ৯৫ ওয়ার্ডের মধ্যে থাকা এই ঝিল সংস্কারের দাবি অনেক দিনের। অজ্ঞাত কারণে কাজ বন্ধ হয়ে গেলেও ফের উদ্যোগী প্রশাসন (Kolkata Corporation)। আবারও শুরু হল সংস্কারের কাজ।
প্রায় ৩০ হাজার (২৯ হাজার ৮৪০) বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে রয়েছে বিক্রমগড় ঝিল। তবে বাসিন্দাদের দাবি নানা দিক থেকে দখল হতে হতে এখন ঝিলের আকার ছোট হয়ে গিয়েছে। আগে ঝিল আরও বড় ছিল।
দিনের পর দিন অযত্ন এবং উদাসীনতায় ঝিলের জল নোংরা হয়েছে। কচুরিপানা ভরে গিয়েছে। আশপাশে জমেছে নোংরা আবর্জনা। এলাকাবাসীদের অভিযোগ, ঝিলের বিভিন্ন দিক ভরাট করার চেষ্টা চলছে নিয়মিত।
বাম আমলে একবার বিক্রমগড় ঝিল বাঁচাও আন্দোলন হয়েছিল। স্থানীয় বাসিন্দা সুকমল ভট্টাচার্য বলেন, "এই ঝিল আমাদের কাছে আবেগ। দক্ষিণ কলকাতার অন্যতম ফুসফুস বলা যায়। সেটাই বেহাত হয়ে যাচ্ছিল। ২০১৪ সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ে একটি কমিটিও তৈরি করে দিয়েছিলেন। তারপর সংস্কারের কাজ শুরু হয়।"
স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রথমে পুরো উদ্যমে কাজ হলেও তারপর আর বিশেষ কাজ এগোয়নি। পুরসভার পরিবেশ বিভাগ সূত্রে খবর, দেড় কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছিল। সেই টাকায় কাজ হয়। তারপর কেন কাজ আর হল না তা জানা যায়নি।
দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় এখন ঝিলের হাল বেশ খারাপ হয়েছে। সম্প্রতি এ বিষয়ে পুরসভার মাসিক অধিবেশনে প্রশ্ন তুলেছিলেন তপন দাশগুপ্ত। তার পরিপ্রেক্ষিতে পুরসভার পরিবেশ বিভাগের মেয়র পারিষদ স্বপন সমাদ্দার বলেন, নতুন করে সাড়ে তিন কোটি টাকা ঝিল সংস্কারের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে।
পুর কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে, এই টাকায় ঝিলের সংস্কারের পাশাপাশি চারপাশে ওয়াক ওয়ে তৈরি করা হবে। গোটা জায়গাটি ঘিরে দেওয়া হবে, যাতে নোংরা আবর্জনা না পড়ে।
স্থানীয় ৯৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার মৌসুমী দাস বলেন, "বহু বছর ধরেই বিক্রমগড় অঞ্চলের বাসিন্দারা ঝিলের সংস্কারের দাবি জানিয়ে আসছিলেন। কাউন্সিলার হওয়ার পর থেকে এটা নিয়ে বহুবার দরবার করেছি। অবশেষে সেই কাজ শুরু হল।"