শেষ আপডেট: 27th August 2024 17:02
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আরজি কর কাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছে সিভিক ভলেন্টিয়ার সঞ্জয় রায়। কলকাতা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছিল এবং বর্তমানে সে রয়েছে সিবিআই হেফাজতে। কারণ কেন্দ্রীয় সংস্থা এখন আরজি কর মামলার তদন্ত করছে। সঞ্জয়কে ইতিমধ্যে কয়েক দফা জেরা করেছে সিবিআই, তার পলিগ্রাফ টেস্টও হয়েছে। তার ব্যবহার করা বাইকও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। সেই বাইক নিয়ে মঙ্গলবার বিশেষ বিবৃতি দিল কলকাতা পুলিশ।
সঞ্জয় রায় সিভিক ভলেন্টিয়ার হলেও তার সঙ্গে পুলিশের একাধিক অফিসারের সখ্যতা ছিল বলে দাবি করা হয়েছে। সঞ্জয় ঘনিষ্ঠ এক পুলিশকর্তাকে সিজিও কমপ্লেক্সে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়েছে ইতিমধ্যে। তবে আচমকা সংবাদ শিরোনামে চলে এসেছে সঞ্জয়ের বাইক। কারণ তার বাইক নথিভুক্ত পুলিশ কমিশনারের নামে! এই নিয়েই এখন হইচই। কেন একজন সিভিক ভলেন্টিয়ারের বাইকের নথি কলকাতা পুলিশ কমিশনারের নামে রয়েছে তা জানতে চান সকলেই। সেই নিয়েই বিবৃতি দিয়েছে পুলিশ।
সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে কলকাতা পুলিশ জানিয়েছে, ''কলকাতা পুলিশের বিভিন্ন বিভাগ দ্বারা ব্যবহৃত সমস্ত সরকারি যান কমিশনারের নামেই সরকারিভাবে নথিভুক্ত করা হয়। এক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। বাইকটি নথিভুক্ত ছিল কলকাতা পুলিশ কমিশনারের নামে, যা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার চেষ্টা করছেন কিছু ব্যক্তি।'' আরজি করের ঘটনায় প্রথম থেকেই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। তবে তারাও পাল্টা জানিয়েছিলেন, সোশ্য়াল মিডিয়ায় অনেক গুজব রটছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একাধিকজনকে লালবাজার তলবও করেছিল পুলিশ। এখন এই বাইকের ইস্যুতেও গুজব নিয়ে বার্তা দিল তাঁরা।
সম্প্রতি সঞ্জয় রায়ের পলিগ্রাফ টেস্ট করা হয়েছে। তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের আগে ঠিক কী কী করেছিল সে তার একটা ধারণা মিলেছে। সঞ্জয় কার্যত স্বীকার করে নিয়েছে যে, সেমিনার হলে তরুণী চিকিৎসককে দেখা মাত্রই যে শারীরিক নিগ্রহ শুরু করে। এরপর মারধর এবং ধর্ষণের পর তাঁকে খুন করে। তারপর সঞ্জয় নিজের এক পুলিশ বন্ধুর বাড়ি চলে যায়। সিসিটিভি ফুটেজ এবং ছেঁড়া ব্লু-টুথ হেডফোনের সূত্র ধরেই প্রথমে সঞ্জয়কে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। ওদিকে সিবিআই তদন্ত থেকে জানা গেছে, ঘটনার আগের দিন নির্যাতিতার ওপর 'নজর' রেখেছিল সে। হাসপাতালের করিডরের সিসি ক্যামেরায় এই ছবি ধরা পড়েছে।