শেষ আপডেট: 15th March 2024 20:04
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মাথায় ব্যাটের বারি, মুখে লিউকোপ্লাস! ভবানীপুরের ব্যবসায়ী খুনে ছিল পরতে পরতে নৃশংসতা। সেই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত অনির্বাণ গুপ্তর সঙ্গেই গ্রেফতার করা হয়েছে সুমন দাস নামে আরও এক ব্যক্তিকে। যিনি ব্যবসায়ী খুনে অনির্বাণকে সাহায্য করেছিলেন। যার জন্য সুমনকে ২০০০ টাকা দেবেন বলেন অনির্বাণ। আর এতেই রাজি হয়ে প্রথমে নৃশংসভাবে খুন এবং পরে জলের ট্যাঙ্কে দেহ লুকানোর জন্য ইট দিয়ে গাঁথনি তুলতে সাহায্য করেন সুমন। তদন্তে পুলিশের হাতে উঠে এসেছে এমনই সব চাঞ্চল্যকর তথ্য।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওষুধ ডেলিভারির কাজ করতেন সুমন। যেখানে তিনি ডেলিভারি অনুযায়ী ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা পেতেন। কয়েকদিন আগে তাঁকে বড় ডেলিভারির কথা বলে বেশি টাকার লোভ দেখানো হয়েছিল। ভবানীপুরের ব্যবসায়ী ভাবিয়া লাহানিকে খুনের জন্য সুমনকে ২ হাজার টাকা দেবেন বলে জানিয়ে ছিলেন অনির্বাণ।
ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে জানা গিয়েছে, ভাবিয়া লাহানির মৃত্যু নিশ্চিত করতে ব্যাট দিয়ে মাথায় নির্মমভাবে আঘাত করা হয়। শুধু তাই নয়, মুখ বন্ধ করতে লিউকোপ্লাস লাগিয়ে দেওয়া হয়। এমনকী গলাতেও চাপ দেওয়া হয়েছে বলেই প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে। খুনের সময়ে অনির্বাণ তাঁর কুকুরকে একটি ঘরে রেখে দিয়েছিলেন।
এছাড়াও পুলিশ জানতে পেরেছে, দেহ রাখার জন্য ১০ ইঞ্চি চওড়া গর্ত তৈরি হয়েছিল। যেখানে চারদিকে ঢাকা অবস্থায় দেহ রেখে একটি পাঁচিল দিয়ে বন্ধ করার পরিকল্পনা ছিল। সেই জলের ট্যাঙ্ক থেকেই বুধবার সকালে ব্যবসায়ীর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
সোমবার দুপুর থেকে আচমকাই নিঁখোজ হয়ে গিয়েছিলেন ভাবিয়া লাহানি। মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার মিটিং-এর জন্য যাচ্ছেন বলে ভাবিয়া লাহানি বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। দুপুর ৩ টে নাগাদ শেষবার তাঁর সঙ্গে পরিবারের সদস্যদের কথা হয়েছিল। তারপরই মোবাইল বন্ধ হয়ে যায়। ব্যবসায়ীর স্ত্রী সেদিনই থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেছিলেন। তদন্তে নেমে পেশায় ওষুধ ব্যবসায়ীর মোবাইল বিডন স্ট্রিট এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়। সেই সূত্র ধরেই নিমতায় হানা দেয় নিমতার বন্ধুর খোঁজ মেলে। যেখানে রহস্যভেদ করে পুলিশ।