শেষ আপডেট: 18th September 2024 22:32
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আরজি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার প্রতিবাদে গত ১৪ অগস্ট ‘রাতদখল’ কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছিল। সেই রাতেই হামলা হয় আরজি করে। সেই ঘটনায় পুলিশ ৪৪ জনকে গ্রেফতার করে। তাদের জেল হেফাজত হয়েছিল। বুধবার সেই হেফাজতের মেয়াদ আরও বাড়ল। আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তাদের জেলেই থাকতে হবে।
স্বাধীনতার মধ্যরাতে আরজি কর হাসপাতালের জরুরি বিভাগ থেকে শুরু করে গ্রাউন্ড ফ্লোরের করিডরের একটা অংশ ভাঙচুর করা হয়। নষ্ট করা হয় সিসিটিভিও। সেই ঘটনায় কলকাতা পুলিশ দুষ্কৃতীদের ধরতে সমাজ মাধ্যমে একাধিক ছবি, ভিডিও দিয়েছিল। সাধারণ মানুষের সাহায্য চেয়েছিল পুলিশ। পরে একে একে ৪৪ জনকে তাঁরা গ্রেফতার করে। তাঁদেরই জেল হেফাজতের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের পর বুধবার শিয়ালদহ আদালত চত্বরে বিক্ষোভ দেখান ধৃতদের পরিবারের সদস্যরা।
অনেকের অভিযোগ ছিল, তথ্য প্রমাণ লোপাট করার জন্য আরজি কর হাসপাতালে হামলা চালানো হয়েছিল। কিন্তু যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের অনেকেই হয়তো ভাঙচুরের ঘটনায় যুক্ত নন। কিন্তু পুলিশের দাবি, সোশ্যাল মিডিয়ায় দেওয়া ছবি এবং তথ্যের ভিত্তিতেই সকলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সেই রাতে হাসপাতালে নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীরা ছাড়াও বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মীও আক্রান্ত হয়েছিলেন।
১৪ অগস্ট রাতের পর আরজি কর ইস্যুতে ছাত্র সমাজের নবান্ন অভিযানের দিনও ব্যাপক উত্তেজনা হয় শহরে। সেই দিনও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। একাধিক জায়গায় আক্রান্ত হন তাঁরা। এই ঘটনার জেরেও পুলিশ অনেককে গ্রেফতার করেছে ইতিমধ্যেই।
হাসপাতালের আর্থিক দুর্নীতি এবং মহিলা চিকিৎসক ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। তাঁর সঙ্গে গ্রেফতার হয়েছেন টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডলও। দুজনেই রয়েছেন সিবিআই হেফাজতে।