শেষ আপডেট: 27th September 2024 13:03
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আরজি কর হাসপাতালের দুর্নীতির তদন্তে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার স্ক্যানারের নীচে আগেই এসেছেন তৃণমূল বিধায়ক তথা রোগীকল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান সুদীপ্ত রায়। বড়সড় দুর্নীতির সঙ্গে তিনি জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছিল প্রথম থেকেই।
এবার ফের তাঁর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছেন হাসপাতালে দীর্ঘদিন জিনিসপত্র সরবরাহকারী এক সংস্থার প্রধান সুব্রত বসু।
যদিও এসব অভিযোগের মুখে সুদীপ্ত রায় বরাবরই দাবি করেছেন, তিনি নির্দোষ। এর আগের দিনও সিবিআইয়ের জেরা সেরে সিজিও থেকে বেরোনোর সময়ে তিনি বলেন, তাঁর কোনও দোষ নেই।
সুদীপ্ত রায় এবার ফের জোর গলায় দাবি করলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ মিথ্যা।' একটি সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন, 'এর আগে সিঁথির নার্সিংহোমে এসে ইডি আধিকারিকরা আমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন। ২০ ঘণ্টা তল্লাশি চালিয়েও কিছুই পাননি।’
সুব্রত বসু ঠিক কী অভিযোগ তুলেছেন সুদীপ্ত রায়ের বিরুদ্ধে?
হাওড়ার ওই সংস্থার প্রধানের অভিযোগ, আরজি করের নাম করে সরকারি টাকায় কেনা চিকিৎসা সামগ্রী পৌঁছে যেত তৃণমূল বিধায়ক তথা রোগীকল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান সুদীপ্ত রায়ের সিঁথির নার্সিংহোমে। প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের সঙ্গে পরামর্শ করেই বিনা পয়সায় পুরনো চিকিৎসা সামগ্রী, যন্ত্রপাতি বিনা পয়সায় নিজের সিঁথির নার্সিংহোমে দিতেন তৃণমূল বিধায়ক, এমনটাই অভিযোগ।
শুধু তাই নয়, আরজি করে সাফাইকর্মী সরবরাহকারী একটি সংস্থার দায়িত্বে থাকা বাপ্পা ভট্টাচার্যের আরও অভিযোগ, আরজি করে চিকিৎসা সামগ্রী নিজের নার্সিংহোমে দেওয়ার পাশাপাশি হাসপাতালের সাফাইকর্মীদের মধ্যেও তিনজনকে নাকি সুদীপ্ত রায়ের সিঁথির নার্সিংহোমে পাকাপাকিভাবে নিয়োগ করা হয়েছিল। তবে তৃণমূল বিধায়ক এদের বেতন দিতেন না। বেতন দিতে হত সাফাইকর্মী সরবরাহকারী সংস্থাকে, অর্থাৎ আরজি করের বাজেট থেকেই যেত সে টাকা।
এখানেই শেষ নয়, আরজি করের ট্রমা কেয়ার ইউনিট থেকে অনেক রোগীকেই নিয়মিত সুদীপ্ত রায়ের নার্সিংহোমে পাঠানো হত। আবার কোনও রোগীর অবস্থার অবনতি হলে বিধায়কের নার্সিংহোম থেকে সোজা আরজি করে পাঠিয়ে দেওয়া হত। এই পুরোটাই হতো বেআইনিভাবে, রেফারের নিয়ম না মেনেই।
আরজি করের আর্থিক দুর্নীতি মামলায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। তাঁর পর এখনও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি সিবিআই বা ইডি। সেকারণেই শ্রীরামপুরের তৃণমূল বিধায়ককে নিয়ে কৌতূহল বাড়ছে। ইতিমধ্যে সুদীপ্ত রায়ের বাড়ি, নার্সিংহোম, বাগানবাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা।