শেষ আপডেট: 8th March 2025 13:41
দ্য ওয়াল ব্যুরো: কসবা কাণ্ডে (Kasba Case) মামা-মামির পর এক লোন এজেন্টকে গ্রেফতার (Loan Agent Arrest) করা হয়েছিল। তাঁর নাম দম্পতির বাড়ির দেওয়ালে লেখা ছিল। এবার আরও একজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ (Kolkata Police)। তিনিও লোন এজেন্ট এবং তাঁর নামও সুইসাইড নোট থেকে পেয়েছে পুলিশ। সুভাষগ্রাম থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সন্তানকে খুন করে বাবা-মা আত্মঘাতী হয়েছেন কসবায়। পুলিশ জেনেছে, শিশুর জটিল রোগ ছিল এবং তার জন্যই টাকা জোগাড় করতে হিমশিম খাচ্ছিলেন সোমনাথ রায় এবং তাঁর স্ত্রী সুমিত্রা। বাচ্চার চিকিৎসার খরচ জোগাড় করার জন্য লোন নিয়েছিলেন সোমনাথ। কিন্তু তার টাকা শোধ দিতে পারছিলেন না। অন্যজনের মতো এই লোন এজেন্টদের বিরুদ্ধেও তাঁদের চাপ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
ধৃত লোন এজেন্টের নাম সোমশুভ্র মণ্ডল। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, একাধিকবার বিভিন্ন এজেন্সি থেকে কমিশনের বিনিময়ে লোন পাইয়ে দিয়েছিলেন তিনি ওই দম্পতিকে। সূত্রের খবর, কোনও এজেন্সি থেকে ৫ লক্ষ, কোথাও থেকে দেড় লক্ষ টাকা লোন পাইয়ে দিয়েছিলেন তিনি। পরে ঋণ মেটাতে দম্পতিকে চাপ দিচ্ছিলেন। সেই সূত্রেই তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে মৃতর মামা-মামিকে আগেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তারপর গ্রেফতার হয়েছেন চঞ্চল মুখোপাধ্যায় নামে এক লোন এজেন্ট। তাঁর থেকে পুলিশ জানতে পেরেছিল ছেলের চিকিৎসার জন্য একটি ব্যাঙ্ক থেকে ১০ লক্ষ টাকা লোন নিয়েছিলেন সোমনাথ। কিন্তু সেই লোনের টাকা শোধ দিতে পারছিলেন না। পাশাপাশি একাধিক পাওনাদারও আসতেন সোমনাথের কাছে। তাদের নাম দেওয়ালে লিখে রেখে যান তিনি। সেই নামগুলির মধ্যে এই লোন এজেন্টের নামও ছিল।
সুইসাইড নোটে সম্পত্তি সংক্রান্ত বিবাদ এবং মামা-মামির নাম উল্লেখ করে গিয়েছিলেন সোমনাথ। একই সঙ্গে মানসিক নির্যাতনের অভিযোগও এনেছিলেন তিনি। তবে শুধুই মামার সঙ্গে সম্পত্তিগত বিবাদ নাকি সন্তান সুস্থ হবে না বুঝতে পেরেই সপরিবারে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত, সেটা এখনও স্পষ্ট নয় পুলিশের কাছে। ইতিমধ্যে কসবা কাণ্ডের ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট এসেছে। তাতে বলা হয়েছে, তিন বছরের শিশুর মৃত্যু হয়েছে শ্বাসরোধের কারণে। কিন্তু তাঁকে কে খুন করেছেন, বাবা না মা, সেটা এখনও পরিষ্কার নয়।