শেষ আপডেট: 7th February 2025 18:14
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মঙ্গলবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছিলেন, যেখানে সেখানে গুটখার পিক ফেললে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই সমস্যা নিয়ন্ত্রণে আরও কঠোর আইন আনা যায় কিনা, জরিমানার অঙ্ক বাড়ানো সম্ভব কিনা, তাও পর্যালোচনা করতে হবে বলে জানান তিনি। এবার মুখ্যমন্ত্রীর সুরেই কথা বললেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
শুক্রবার 'টক টু মেয়রের' পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ববি জানান, "আমরা একটা আইন আনার চেষ্টা করছি। যত্রতত্র পানের পিক ফেলে দিচ্ছে মানুষ, প্রস্রাব করছে। যেখানে সেখানে ময়লা ফেলা দেওয়া হচ্ছে। আইন আগেই ছিল, সেটা আমাদের ইমপ্লিমেন্ট করতে হবে।" যদি গাড়ি থেকেও কেউ পিক ফেলে সেই গাড়িকেও ফাইন করা হবে। তার জন্যও আইন আনতে হবে বলে জানান ফিরহাদ।
শহর কলকাতার যত্রতত্র গুটখা বা পানের পিক ফেলে নোংরা করার দৃশ্য নতুন নয়। এমনকি বিভিন্ন সরকারি অফিসের দেওয়ালেও এই নোংরা করার ছাপ দেখা যায় যখন-তখন। শুধু তাই নয়, পথেঘাটে প্রস্রাব করার ঘটনাও আকছার চোখে পড়ে। ঝাঁঝালো গন্ধে অসুস্থ হয়ে পড়ার দশা হয় পথচারীদের।
বহু বছর ধরেই শহর কলকাতার এই অপরিচ্ছন্নতা নিয়ে লেখালেখি বা অভিযোগ কম হয়নি। কিন্তু পরিস্থিতি কখনওই বদলায়নি। আইন থেকে গেছে আইনের মতো, নোংরা করার প্রবণতাও থেকে গেছে সেই তিমিরে। সেই আইনকেই ইমপ্লিমেন্ট করতে উঠে পড়ে লেগেছে কলকাতা পুরসভা।
প্রসঙ্গত, এই বিষয়ে ২০০১ সালেই আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। 'দ্য ওয়েস্ট বেঙ্গল প্রোহিবিশন অফ স্মোকিং অ্যান্ড স্পিটিং অ্যান্ড প্রোটেকশন অফ হেল্থ অফ নন-স্মোকারস অ্যান্ড মাইনর অ্যাক্ট, ২০০১' অনুসারে, প্রথমবার প্রকাশ্যে থুতু বা গুটখার পিক ফেললে ১,০০০ টাকা জরিমানা হবে। দ্বিতীয়বার ধরা পড়লে জরিমানার পরিমাণ ২,০০০ থেকে ৫,০০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
এর পরেও টনক নড়েনি মানুষের। সম্প্রতি কড়া অবস্থান নিয়েছে মুম্বই, পুণে, তেলেঙ্গানা। জরিমানা করাও শুরু হয়েছে। এবার সেই পথেই হাঁটতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।