শেষ আপডেট: 4th September 2024 15:21
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আরজি করে ডাক্তার-ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় সুপ্রিম কোর্টে মামলা চলছে। ইতিমধ্যে একবার শুনানি হয়েছে এবং আগামীকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার ফের শুনানি হতে চলেছে। তার আগে প্রধান বিচারপতিকে চিঠি লিখলেন কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী। এই চিঠিতে রাজ্যের পুলিশ কমিশনার এবং ডিজিকে ছুটিতে পাঠানোর আর্জি জানিয়েছেন তিনি। এর সঙ্গে আরও একাধিক দাবি রয়েছে তাঁর।
বৃহস্পতিবার সিবিআইকে স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দিতে বলেছে শীর্ষ আদালত। তার আগে বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ আরজি কর সংক্রান্ত একাধিক মামলার শুনানি স্থগিত করে দিয়েছে। দেশের সর্বোচ্চ আদালত এই মামলার আগের শুনানিতে আরজি করের নিরাপত্তায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছিল। আর এবার কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী চাইছেন কলকাতা পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল এবং রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমারকে 'ছুটি'তে পাঠাক আদালত। অধীরের যুক্তি, এঁরা দুজনই তদন্তে ব্যর্থ হয়েছে। তাই তাঁদের পদ থেকে সরানো উচিত।
এই আর্জির পাশাপাশি অধীর আরও চান, আরজি কর হাসপাতালের বাইরে পুলিশ আউটপোস্ট হোক এবং সেখানের নজরদারিতে থাকুন নতুন পুলিশ কমিশনার। তাঁর সঙ্গে থাকা অন্যান্য পুলিশ কর্মীরা হাসপাতালের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় জওয়ানদের সঙ্গে সহযোগিতা করবে। এছাড়া সিআইএসএফ জওয়ানরা যাতে প্রয়োজন অনুযায়ী নিজেরা কোনও বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন সেই আবেদনও চিঠিতে করেছেন অধীর। একই সঙ্গে আরজি করের ঘটনা সংক্রান্ত ৮টি প্রশ্ন করেছেন কংগ্রেস নেতা। বিষয়গুলির ওপর যাতে সুপ্রিম কোর্ট নজর দেয় সেই আর্জি করেছেন তিনি।
ইতিমধ্যে কলকাতা পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের অপসারণ নিয়ে মামলা দায়েরের অনুমতি চেয়ে বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন আইনজীবী অমৃতা পাণ্ডে। এরপরই প্রধান বিচারপতি জানান, সুপ্রিম কোর্টে যেহেতু আরজি কর মামলাটি বিচারাধীন রয়েছে এমত অবস্থায় এ বিষয়ে তিনি কোনও অনুমতি দিতে পারেন না। সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তের পরই আদালত এ বিষয় সিদ্ধান্ত নেবে।
ডাক্তারি ছাত্রী খুনের অভিযোগে ঘটনার পরই কলকাতা পুলিশের সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। আরজি করের দুর্নীতি মামলায় গত সোমবার রাতে আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকেও গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। স্বভাবতই, ডাক্তারি ছাত্রী খুনে সিবিআই আদালতে কী রিপোর্ট পেশ করে, তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে কৌতূহল রয়েছে। তার মধ্যেই অধীর রঞ্জন চৌধুরীর এই চিঠি আদতে কোনও প্রভাব ফেলে কিনা সেটাও দেখার।