শেষ আপডেট: 16th February 2024 23:56
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মায়াস্থেনিয়া গ্র্যাভিস। লাখে ১০ জন আক্রান্ত হন বিরল এই রোগে।
স্নায়ু ও পেশীর দুর্বলতার পাশাপাশি শরীরে কার্বন ডাই অক্সাইডের মাত্রা বাড়িয়ে দেওয়ায় শ্বাস-প্রশ্বাসে অসুবিধা তৈরি করে। মাথা নড়াচড়ানোতে দুর্বলতা দেখা যায়। বিরল এই রোগের ফলে সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত হয় চোখ, মুখ এবং গলা। চোখের পাতা ফুলে যাওয়া, কথা বলতে অসুবিধা এবং হাঁটা চলায় সমস্যা তৈরি হয়। ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যেতে থাকেন রোগী।
যেমনটা হয়েছিলেন কলকাতার বছর ৫০ এর এক গৃহবধূর। টানা ২৩ দিনের চিকিৎসায় যে মহিলাকে সুস্থ করে বাড়ি পাঠালেন কলকাতার ডিসান হাসপাতাল।
হাসপাতালের ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডাঃ মোহিত খারবান্দা বলেন, "আমাদের এখানে উন্নত চিকিৎসা পরিকাঠামো এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা রয়েছেন বলেই দ্রুত রোগীর রোগ নির্ণয় করে চিকিৎসা শুরু করা গিয়েছিল। তা না হলে এই ধরনের বিরল রোগে আক্রান্ত রোগীকে বাঁচানো চিকিৎসকদের কাছে রীতিমতো চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়।"
হাসপাতাল সূত্রের খবর, টানা ২৩ দিনের চিকিৎসায় পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠেছেন মায়াস্থেনিয়া গ্র্যাভিসে আক্রান্ত ওই মহিলা। যিনি ধীরে ধীরে কথার স্বর হারিয়ে ফেলছিলেন, ঠিক করে দাঁড়াতে পারছিলেন না, সেই তিনি হাসপাতাল থেকে পায়ে হেঁটে বাড়ি ফিরেছেন।
২৩ দিনের মধ্যে ১৬ দিন মহিলাকে ভেন্টিলেশন সাপোর্টে রাখা হয়েছিল। ডাঃ মোহিত খারবান্দার নেতৃত্বে বিশেষ মেডিকেল বোর্ড মহিলার চিকিৎসা করেন। ডাঃ খারবান্দার কথায়, “একসময় শ্বাস প্রশ্বাসও নিতে পারছিলেন না। শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি ঘটছিল। আমরা ইন্ট্রাভেনাস ইমিউনোগ্লোবুলিন থেরাপি শুরু করি। তারপরই উল্লেখযোগ্য ভাবে তিনি চিকিৎসায় সাড়া দিতে শুরু করেন।“
এর আগে ৩২ বছরের এক যুবক দোতলা থেকে পড়ে গিয়ে তাঁর মেরুদণ্ডে আঘাত লাগে। সেই আঘাত এতটাই গুরুতর ছিল যে মেরুদণ্ড বেঁকে গিয়ে রোগীর গলার নীচের অংশ থেকে শরীর অসাড় হয়ে যায়। এমন সঙ্কটাপন্ন রোগীর জটিল অপারেশন করে তাঁকে সুস্থ জীবন ফিরিয়ে দিয়েছে ডিসান হাসপাতাল।