কলকাতা হাইকোর্ট ও পুলিশ কমিশনার।
শেষ আপডেট: 26th September 2024 16:19
দ্য ওয়াল ব্যুরো: দুর্গাপুজো শুরু হতে আর দু'সপ্তাহও বাকি নেই। এদিকে বুধবার রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে কলকাতা পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা জানিয়েছেন, আগামী ২ মাস কলকাতা শহরের একাংশে বড় জমায়েত করা যাবে না। পুলিশের ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হল মামলা।
সিপি র নির্দেশ অনুযায়ী, শহর কলকাতা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার কলকাতা পুলিশের থানা এলাকায় ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত পাঁচ জনের বেশি একত্রে চলাফেরা, দাঁড়িয়ে থাকা বা জমায়েত করা যাবে না।
এ ব্যাপারে বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টে দুটি মামলা দায়ের হয়েছে। একটি আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকদের তরফে করা হয়েছে, অপর মামলাটি দায়ের করেছে সিপিএমের যুব সংগঠন। মামলাকারীদের প্রশ্ন, মানুষ কি তাহলে পুজোয় ঘর থেকে বেরোবে না?
আদালত মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছে। আগামীকাল অর্থাৎ শুক্রবার মামলার শুনানি হতে পারে।
পুলিশের দাবি, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে কলকাতার একাধিক জায়গায় হিংসাত্মক ঘটনা ঘটতে পারে বলে খবর এসেছে। তারই ভিত্তিতে ওই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।
পুলিশ কমিশনারের জারি করা নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, বৌবাজার থানা, হেয়ার স্ট্রিট থানা এবং ধর্মতলা এলাকায় কে সি দাস ক্রসিং থেকে ভিক্টোরিয়া হাউসের দিকের এলাকায় পাঁচ থেকে ছয় জনের বেশি জমায়েত করা যাবে না। একই সঙ্গে বলা হয়েছে, এই সময়ের মধ্যে কারও হাতে লাঠি বা এই ধরনের কোনও 'অস্ত্র' দেখতে পেলে তাঁর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১৬৩ ধারা মেনে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করছে পুলিশ। ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে ২৩ নভেম্বর এই নিয়ম জারি থাকবে। এই দুই মাস কোনও রকম জনসভাও করা যাবে না সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলিতে। বস্তুত, পুলিশের জারি করা সময় সীমার মধ্যেই রয়েছে দুর্গা পুজো-সহ একাধিক পুজো।
যে এলাকাগুলিতে পাঁচজনের বেশি জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে, সেই এলাকাগুলিতে কি পুজোর সময় মানুষ যেতে পারবে না, বিভিন্ন মহলের তরফে এই প্রশ্ন তোলা হচ্ছিল। এবার হাইকোর্টে দায়ের হল মামলা।
মামলাকারীর আইনজীবী শামীম আহমেদ বলেন, "যে এলাকার ভিড় নিয়ন্ত্রণে পুলিশ এই বিধি নিষেধ জারি করেছে, সেখানে বেশ কয়েকটি পুজো হয়। আসলে আরজি কর নিয়ে পুজোর সময় যদি আবার মানুষ পথে নামে, তা আটকাতেই এই নির্দেশ জারি করা হয়েছে।"