শেষ আপডেট: 5th October 2024 22:09
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দাবি পূরণ না হলে আমরণ অনশনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। শনিবার রাত সাড়ে ৮টার মধ্যে সরকারের তরফে কোনও সদুত্তর না আসায় তাঁরা অনশন শুরু করেছেন ধর্মতলায়। প্রথম দফায় ৬ জন জুনিয়র ডাক্তার অনশনে বসেছেন। তবে তাঁদের মধ্যে আরজি কর হাসপাতালের কেউ নেই! যারা আছেন, তাঁরা কোন হাসপাতালের?
যে ৬ জন অনশনে বসেছেন তাঁরা হলেন অনুষ্টুপ মুখোপাধ্যায় (কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ), অর্ণব মুখোপাধ্যায় (এসএসকেএম), তনয়া পাঁজা (কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ), সায়ন্তনী ঘোষ হাজরা (কেপিসি), পুলস্ত্য আচার্য (এনআরএস) এবং স্নিগ্ধা হাজরা (কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ)। অনশনের স্বচ্ছতা বজায় রাখতে অনশন মঞ্চে সিসিটিভি বসাবেন জুনিয়র ডাক্তাররা এমনটাই জানানো হয়েছে।
মহালয়া থেকে উৎসবমুখী হয়েছে মানুষ। কিন্তু জুনিয়র ডাক্তাররা বলছেন, এই আন্দোলন জটটা তাঁদের, ততটাই আমজনতার। যারা উৎসবে ফিরছেন সেটা তাঁদের ব্যক্তিগত ব্যাপার কিন্তু তাঁদের উৎসবে ফেরার মানসিকতা একদমই নেই। তাঁরা অনশন চালিয়ে যাবেন যতদিন না পর্যন্ত তাঁদের দাবি পূরণ হচ্ছে।
অনশন করতে করতে কেউ অসুস্থ হলে দায় কার? এই প্রশ্নের উত্তরে জুনিয়র ডাক্তাররা বলেন, যে দাবিগুলি করা হয়েছিল তা অত্যন্ত ন্যায্য এবং সেটা সরকার থেকে শুরু করে সকলেই জানেন। তাই তাঁদের দাবি রাজ্য মেনে নিলে এই দিন আসে না। এখন তাঁরা দুটি শর্তেই এই অনশন তুলতে পারেন। এক, সব দাবি মানা হলে আর দুই, তাঁদের মৃত্যু হলে!
শনিবার সকালেই লালবাজারের তরফে মেল করে তাঁদের অবস্থান তুলে নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছিল। পুজোতে সাধারণ মানুষের অসুবিধা হবে এবং যান নিয়ন্ত্রণে সমস্যা হবে এই যুক্তি দিয়েই পুলিশ জুনিয়র ডাক্তারদের ধর্না তুলতে বলে। কিন্তু জুনিয়র ডাক্তারদের সাফ কথা, মিথ্যে দাবি করছে পুলিশ। শুক্রবার রাত থেকে শনিবার সারাদিন ওই রাস্তায় যান চলাচলে কোনও অসুবিধা হয়নি। উলটে তাঁরা পুলিশের বিরুদ্ধে 'থ্রেট কালচারের' অভিযোগ তোলে।