নিজস্ব ছবি
শেষ আপডেট: 12 February 2025 12:08
দ্য ওয়াল ব্যুরো: কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে চলেছে উওর দিনাজপুরের গোয়ালপোখর লোধা হাই স্কুলের চার ছাত্র। মাধ্যমিকে তাদের সিট পড়েছিল নন্দঝাড় আদিবাসী তফসিলি হাই স্কুলে। পরীক্ষা কেন্দ্রে তাদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন উদ্ধার করেন স্কুল পরিদর্শক। যে কারণে পরীক্ষা বাতিল করে দেওয়া হয়।
গত বছর মাধ্যমিকে পরীক্ষার হলের মধ্যে জেলায় দু'জনের কাছে মোবাইল পেয়েছিলেন পরীক্ষকরা। ওই পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা সেই বছর বাতিল করে দিয়েছিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। এ বছর পর্ষদ আরও কড়া পদক্ষেপের কথা জানিয়েছিল। প্রথমে ফোন না আনা নিয়ে পরীক্ষার্থীদের বার বার সচেতন করা হয়। এর পরেও যদি কেউ ফোন আনে এবং পরীক্ষা চলাকালীন ধরা পড়ে, তা হলে পর্ষদ দোষের গুরুত্ব বুঝে তিন বছর পর্যন্ত পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত নিতে পারে বলে জানানো হয়।
উত্তর দিনাজপুরের গোয়ালপেখোরের নন্দঝাড় আদিবাসী তফসিলি আদৰ্শ বিদ্যাপীঠ পরীক্ষাকেন্দ্রের ৪ জন ছাত্র মোবাইল ফোনে প্রশ্নের ছবি তুলে কোচিং সেন্টারের শিক্ষকের কাছে পাঠায় বলেই জানা যায়। পাঠানো প্রশ্নের উত্তরও আসে ফোনে বলে অভিযোগ। যে কারণে চলতি বছরের সব পরীক্ষা বাতিল করে দেওয়া হয় তাদের। এবার সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করেই উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছে চার ছাত্র।
বস্তুত, পর্ষদের কড়া নির্দেশিকা সত্ত্বেও মাধ্যমিকের প্রথম দিনই মোবাইল ফোন নিয়ে ধরা পড়ে এক পরীক্ষার্থী। আলিপুরদুয়ারের নিউটাউন গার্লস-র ওই পড়ুয়ার পরীক্ষা বাতিল হয়। অন্য দিকে, হাওড়ার বালি শান্তিরাম বিদ্যালয়ের এক পরীক্ষার্থীর কাছে মেলে স্মার্ট ওয়াচ। তারও পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। দু'জনের কেউই এ বছর মাধ্যমিকের আর কোনও পরীক্ষা দিতে পারবে না।