শেষ আপডেট: 16th September 2024 13:09
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আরজি কর কাণ্ডে এবার কলকাতা পুলিশের চারজন অফিসারকে সমন পাঠাল সিবিআই। তার মধ্যে দু’জন সাব ইনস্পেক্টর রয়েছেন বলে জানা গেছে। তাঁরা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলেই মনে করছেন সিবিআই অফিসাররা। এই ঘটনায় তদন্তে নয়া মোড় ঘুরতে পারে বলেই মনে করছেন সকলে। খুলতে পারে 'বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের' দুয়ার।
আরজি কর হাসপাতালে তরুণী পড়ুয়া-চিকিৎসককে নারকীয় ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় প্রথম থেকেই অভিযোগ উঠেছে, প্রমাণ লোপাট করা হয়েছিল ঘটনার পরে। তদন্তে গাফিলতির অভিযোগে আঙুল উঠেছিল কলকাতা পুলিশের দিকে। নির্যাতিতার পরিবার বারবার দাবি করেছেন, তদন্ত করার বদলে প্রমাণ লোপাট করতে ব্যস্ত হয়েছিল পুলিশ। এখন সিবিআই তদন্তভার নেওয়ার পরে এই প্রশ্নগুলিরই উত্তর খুঁজেছে একমাস ধরে। এবং একমাসের মাথায় হাসপাতালের তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছে।
রবিবার শিয়ালদহ আদালতে সিবিআই দাবি করে, সন্দীপ এবং অভিজিৎকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করতে চান সিবিআই অফিসাররা। তথ্যপ্রমাণ লোপাট করার ব্যাপারে তাঁরা কীভাবে জড়িত ছিলেন তা জানতেই এই জেরা করা প্রয়োজন আছে বলে সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা যুক্তি দিয়েছেন আদালতে।
সূত্রের খবর, আপাতত তিনটি প্রশ্নের সুনির্দিষ্ট উত্তর খুঁজছে সিবিআই। এক, ধর্ষণ-খুনের ঘটনা কে ঘটাল? দুই, কী কী তথ্যপ্রমাণ লোপাট করা হল? তিন, সমগ্র ষড়যন্ত্রে কারা কারা জড়িত? এই তিনটি বিষয়েই একাধিক তথ্যপ্রমাণ হাতে এসেছে বলে দাবি তদন্তকারীদের।
প্রসঙ্গত, সিবিআই আগেই জানিয়েছিল, খুন-ধর্ষণের পিছনে আরও বড় ষড়যন্ত্র রয়েছে। সে ষড়যন্ত্রে টালা থানার ওসির সঙ্গে প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের আঁতাত ছিল বলেই জানতে পেরেছে সিবিআই। তাতে যুক্ত থাকার সন্দেহেই আরও চারজন পুলিশ অফিসারকে সমন পাঠানো হয়েছে।
অনেকেই মনে করছেন, ১৭ সেপ্টেম্বর অর্থাৎ আগামীকাল, মঙ্গলবার আরজি কর মামলার পরবর্তী শুনানি সুপ্রিম কোর্টে। সে জন্যই সম্ভবত তেড়েফুঁড়ে তদন্ত এগোতে নেমেছে সিবিআই। তা করতে গিয়েই কলকাতা পুলিশের তদন্তে গাফিলতির দিকটিতে বিশেষ নজর দিয়েছে সিবিআই।
জানা গেছে, এই চারজন পুলিশ অফিসার এলে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। সিবিআই সূত্রের খবর, প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের নির্দেশেই পুলিশ অফিসাররা তদন্তে কারচুপি করেছেন। জানা গেছে, কেস ডায়েরিতেও অনেক গরমিল পাওয়া গেছে। সেই সব স্পষ্ট করার জন্যই ওই চার পুলিশ অফিসারকে ডেকে জেরা করা হবে।