শেষ আপডেট: 23rd October 2024 16:02
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আরজি কর হাসপাতালের চিকিৎসক খুনের ঘটনা সামনে আসার পরই নানা অভিযোগে বিদ্ধ হন প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ ঘনিষ্ঠ অভীক দে। তাঁকে সাসপেন্ডও করে স্বাস্থ্যভবন। এবার তাঁদের রিপোর্টেই উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। অভীক দে-র বিরুদ্ধে ভূরিভূরি অভিযোগ জমা পড়েছে।
কলকাতার আরজি কর ছাড়াও ন্যাশনাল মেডিক্যাল, সাগর দত্ত হাসপাতাল এবং রামপুরহাট কলেজ হাসপাতাল থেকে 'থ্রেট কালচার'-এর অভিযোগ এসেছে। এর সঙ্গে উত্তরবঙ্গ লবির প্রসঙ্গও ওঠে এবং এসএসকেএম-এর পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেনি অভীক দে-র নাম উঠে আসে। তিনি 'থ্রেট কালচার'-এর অন্যতম মাথা বলেই দাবি করা হয়েছে। এবার স্বাস্থ্যভবনের রিপোর্টেও তাঁর নামের পাশে রয়েছে ৩২টি অভিযোগ!
অভীক দে পোস্ট গ্রাজুয়েট ট্রেনি হিসেবে হাসপাতালের সব নিয়ম মানেননি বলে মূল অভিযোগ। দাবি, গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কাজের কোটায় তাঁর নিয়োগ হলেও কখনও কোনও কাজ করেননি তিনি। একই সঙ্গে, পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেনি হিসেবে রেজিস্ট্রেশন সম্পূর্ণ করার কাজও হয়নি তাঁর দ্বারা। জুনিয়র ডাক্তারদের প্রথম থেকেই অভিযোগ ছিল, হস্টেলে গিয়ে ভয় দেখাতেন অভীক। রাজ্যজুড়ে একাধিক মেডিক্যাল কলেজেই 'থ্রেট কালচার' চালাতেন অভিযুক্ত অভীক।
চিকিৎসকদের একাংশের তরফে আরও দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কে হবেন, সেটাও ঠিক করে দেওয়ার ক্ষমতা রাখতেন অভীক। শুধু তাই নয়, পরীক্ষায় ইনভিজিলেটরের ভূমিকাতেও দেখা যেত তাঁকে। অভীক দে-র মতো ডাক্তারদের বিরুদ্ধে তদন্ত করতেই কমিটি গড়েছে স্বাস্থ্যভবন।