শেষ আপডেট: 12th November 2024 17:13
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বেহালা, বাঁশদ্রোণীর পর এবার সল্টলেক। মঙ্গলবার সল্টলেকে দু’টি বাসের রেষারেষিতে মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রের। মায়ের সঙ্গে স্কুটিতে চেপে স্কুল থেকে ফিরছিল শিশুটি।
ঘটনায় ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী সব পক্ষকে নিয়ে অবিলম্বে রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রীকে বৈঠক ডাকার নির্দেশ দিয়েছেন। সোমবার থেকে উত্তরবঙ্গে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
সূত্রের খবর, এদিন দুপুরে পাহাড়ের উন্নয়নে জিটিএ বৈঠকের মধ্যেই বাসের রেষারেষিতে স্কুলছাত্রের মৃত্যুর খবর পেয়ে সেখান থেকেই টেলিফোনে পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তীকে ফোন করেন মমতা।
ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী এতটাই ক্ষুব্ধ যে অবিলম্বে বাসের রেষারেষি বন্ধ না হলে আইন এনে বেপরোয়া চালকদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় খুনের মামলা রুজু করার প্রস্তাবও দিয়েছেন পরিবহণ মন্ত্রীকে।
প্রসঙ্গত, বাসের রেষারেষিতে প্রাণহানির ঘটনা আগেও ঘটেছে। দুর্টটনা ঠেকাতে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে এর আগে পুলিশের তরফে একাধিকল সচেতনতার কর্মসূচিও নেওয়া হয়। তারপরও পরিস্থিতির বদল কেন ঘটছে না, বাস ব্যবসায়ী-সহ পরিবহণের সঙ্গে যুক্ত সব পক্ষকে নিয়ে অবিলম্বে পরিবহণ মন্ত্রীকে বৈঠকে বসতে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
সূত্রের দাবি, পরিবহণ মন্ত্রীকে মুখ্যমন্ত্রী পরিষ্কারভাবে জানিয়েছেন, এই জিনিস তিনি আর একটাও বরদাস্ত করবেন না। বৈঠকে একথাটা যেন স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হয়। এরপরও যদি কোনও চালক আইন ভেঙে রেষারেষি করে এবং প্রাণহানির ঘটনা ঘটে তাহলে সে যেন আইনের কঠোর শাস্তির জন্য তৈরি থাকে।
প্রসঙ্গত, কেষ্টপুরের স্কুল থেকে মায়ের স্কুটিতে চড়ে ফিরছিল ১১ বছরের আয়ুষ পাইক। সল্টলেকের রাস্তায় দু’টি বাসের রেষারেষিতে স্কুটি থেকে পড়ে যায় শিশুটি। পরে হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। শিশুটির মায়ের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। ঘটনায় ক্ষুব্ধ জনতা পুলিশের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলে পথ অবরোধ করেন, বাস ভাঙচুরও করা হয়।
এর আগে বাসের রেষারেষির জেরে বাঁশদ্রোণী এবংং বেহালায় পথ দুর্ঘটনা ঘটনা ঘটেছিল বলে অভিযোগ। এবার এর হেস্তনেস্ত চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী। অর্থাৎ বেপরোয়া চালকরা না শুধরালে পড়তে হবে কঠোর শাস্তির মুখে।