শেষ আপডেট: 4th October 2024 19:12
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মানুষ উৎসবে ফিরবে কি ফিরবে না সেই নিয়ে তর্ক-বিতর্কের মধ্যেই চারপাশ জানান দিচ্ছে উৎসব শুরু। ইতিমধ্যেই একাধিক পুজো মণ্ডপ উদ্বোধন সেরে ফেলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পরপরই কিছু প্যান্ডেলে ঠাকুর দেখার জন্য ব্যাপক জনস্রোতের খবর শিরোনামে এসেছে। ঝকঝকে কলকাতায় তিমিরেই রয়েছে আরজি করের নির্যাতিতার বাড়ি। প্রত্যেক বছরে যে বাড়িতে ধুমধাম করে দুর্গাপুজো হত, সেই বাড়ি এখন নিস্তব্ধ।
প্রত্যেক বছর মেয়েই বাড়ির দুর্গাপুজোয় যাবতীয় আয়জন করতেন। গত ৯ অগস্টের পর পুজোয় বাড়ির সেই চেনা আমেজ হারিয়ে গেছে। কারণ এবার মেয়ে নেই। আগের পুজোর স্মৃতি মনে করে নিজেদের আর সামলাতে পারছেন না নির্যাতিতার বাবা-মা। প্রত্যেকবার মহালয়ার দিন বাড়িতে যে আড়ম্বর থাকত, তা এখন আর নেই।
নির্যাতিতার মা জানিয়েছেন, সমস্ত বাঙালি পরিবারের মতো তাঁরাও দুর্গাপুজো কবে আসবে সেই দিন গুনতেন। ২০২১ সালে প্রথম বাড়িতে দুর্গাপুজো শুরু করেন নির্যাতিতা। তারপর থেকে প্রত্যেক বছর পুজো হয়ে আসছে। এবার ডাক্তারির পড়া শেষ করে আরও বড় করে পুজো করার কথা ছিল।
বড় করে পুজোর আয়োজন করলে প্রচুর খাটাখাটনি হবে, এই বলে মেয়েকে সাবধানও করে দিয়েছিলেন মা। কিন্তু মেয়ের কথাই ছিল মা-মেয়ে একসঙ্গে কাজ করলে খাটনি গায়ে লাগবে না। নির্যাতিতার মায়ের কথায়, 'এবার সব শেষ হয়ে গেল। যে আমাদের আসল দুর্গা তারই বিসর্জন হয়ে গেল।'
নির্যাতিতার মা জানিয়েছেন, এ বছর আগে থেকেই দুর্গাপুজোর প্রস্তুতি অনেকটা সেরে ফেলেছিলেন তাঁর মেয়ে। দুর্গা প্রতিমার জন্য শাড়ি কেনা ছিল। ঢাকিদেরও আগে থেকেই বায়না দেওয়া হয়েছিল। প্রতি বছর মহালয়ার দিন প্রদীপ জ্বালাতেন মেয়ে। তারপর ৯ দিন ধরে চলত নিরামিষ ভোজন। শেষে দশমীতে গিয়ে নিয়মভঙ্গ। এখন এসব শুধুই স্মৃতি। নির্যাতিতার মা-বাবার এখন
মা দুর্গার কাছে একটাই প্রার্থনা, দোষীরা শাস্তি পাক। মেয়ে বিচার পাক।