কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ
শেষ আপডেট: 7th March 2025 12:11
দ্য ওয়াল ব্যুরো: রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে (Bartya Basu) নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ পুলিশ (Police)। কেন সেদিন একজন ক্যাবিনেট মন্ত্রীর কাছে তাঁর ব্যক্তিগত নিরাপত্তা রক্ষী সঙ্গে ছিলেন না? কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Kalyan Banerjee) কাছে জানতে চান বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। প্রশ্ন তোলেন, কেন গোয়েন্দা রিপোর্ট আগেভাগে পুলিশ পেল না। মন্ত্রীর নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ পুলিশ। এমনই একাধিক বিষয় নিয়ে কথোপকথনের মধ্যেই বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন আইনজীবী কল্যাণ।
আক্ষেপের সুরে কল্যাণ জানান, তিনি আর বিচারপতির তীর্থঙ্কর ঘোষের (Justice Tirthankar Ghosh) এজলাসে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় (Jadavpur University) নিয়ে কোনও মামলায় অংশগ্রহণ করবেন না।
কল্যান বিচারপতিকে বোঝানোর চেষ্টা করে বলেন, "অনেক ক্ষেত্রে নিরাপত্তা কর্মী সঙ্গে করে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয় না। কোনও রাজনৈতিক সভা বা দলীয় কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক হলে সেখানেও ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী সঙ্গে করে নিয়ে যাওয়া যায় না।"
উদাহরণ দিয়ে তিনি আরও জানান, কলকাতা হাইকোর্টে আইনজীবীদের যদি বৈঠক হয় সে ক্ষেত্রে তাঁকে যদি আমন্ত্রণ করা হয় সেখানে তিনি কখনওই নিরাপত্তারক্ষী নিয়ে যেতে পারেন না। আইনজীবী পেশার বাইরেও তিনি একজন জনপ্রতিনিধি এবং লোকসভার সাংসদ। তাঁর নির্দিষ্ট নিরাপত্তা বলায় থাকলেও তিনি সব জায়গায় সেই নিরাপত্তা ব্যবহার করেন না।
বহু সময় রাজনৈতিক সভা বা সমাবেশে কর্মী সমর্থকদের ইচ্ছা থাকে তাঁদের প্রিয় নেতা বা মন্ত্রীর কাছে পৌঁছে যাওয়া। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রেও শিক্ষামন্ত্রীর নিরাপত্তা না নিয়ে যাওয়ার প্রসঙ্গে কল্যাণ একই উদাহরণ দেন। অর্থাৎ মন্ত্রী না চাইলেও তাঁর শুভাকাঙ্ক্ষীরা পৌঁছে গিয়েছিলেন তাঁর কাছে। এটাই স্বাভাবিক।
তবে এই যুক্তিতে সন্তুষ্ট হতে পারেননি বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। স্পষ্ট জানিয়ে দেন, রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী নিরাপত্তা নিয়ে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন তিনি।