শেষ আপডেট: 10th August 2024 11:35
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ব্লু টুথ হেডফোনের একাংশ ছেঁড়া তার! সেই সূত্রেই আরজিকর কাণ্ডে অপরাধীর নাগাল পেয়েছেন তদন্তকারীরা, এমনটাই দাবি লালবাজার সূত্রের।
পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, আরজিকরের চারতলার সেমিনার হলে ডাক্তারি ছাত্রীর দেহের পাশেই পড়েছিল একটি ছেঁড়া তার। তদন্তে নেমে পুলিশ কর্তারা বুঝতে পারেন, ওটি একটি ব্লু টুথের ছেঁড়া তারের অংশ। সেই সূত্রেই বৃহস্পতিবার রাতে যারা ডিউটিতে ছিলেন তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমেই সামনে আসে সঞ্জয় রায়ের নাম। ইতিমধ্যে ডাক্তারি ছাত্রী খুনের ঘটনায় পুলিশ সঞ্জয়কে গ্রেফতার করেছে।
ধৃতর বিরুদ্ধে খুন, ধর্ষণ সহ ভারতীয় ন্যায় সংহিতার একাধিক ধারায় অভিযোগ এনেছে পুলিশ। শনিবার ধৃতকে আদালতে হাজির করিয়ে নিজেদের হেফাজতে নিতে চাইবেন তদন্তকারীরা।
প্রাথমিক তদন্তে গোয়েন্দারা নিশ্চিত হন, ধাক্কাধাক্কির সময়ই ওই হেডফোনের তার ছিঁড়ে গিয়েছিল। পুলিশ সূত্রের দাবি, জেরায় অভিযুক্ত নিজের অভিযোগ স্বীকার করেছে। ঘটনায় আর কে বা কারা জড়িত রয়েছে তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। ইতিমধ্যে ডিসি নর্থ অভিষেক গুপ্তর নেতৃত্বে পদস্থ পুলিশ কর্তারা আরজিকরে পৌঁছেছেন।
কে এই সঞ্জয়? পুলিশ সূত্রের খবর, সঞ্জয় হাসপাতালের কেউ না হলেও আরজিকর মেডিক্যালের জরুরি বিভাগ থেকে চারতলা, সর্বত্রই তার অবাধ যাতাযাত ছিল। অতীতে আরজিকরে দালাল রাজের অভিযোগ উঠেছে একাধিকবার। পড়ুয়াদের একাংশ পুলিশকে জানিয়েছেন, ওই দালাল রাজের অন্যতম হর্তা কর্তাও এই সঞ্জয়। দিনে রাতে সবসময়ই তার অবাধ যাতায়াত ছিল হাসপাতালের সর্বত্র।
স্বভাবতই বহিরাগতর এহেন দাপটের নেপথ্যে কর্তৃপক্ষর বিরুদ্ধে প্রশ্রয়ের অভিযোগ উঠেছে। যদিও এ ব্যাপারে আরজিকর কর্তৃপক্ষর কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও জানা যায়নি।
প্রসঙ্গত, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এখনও প্রকাশ্যে না এলেও পুলিশের একটি সূত্রের দাবি, মৃত ডাক্তারি ছাত্রীর যৌনাঙ্গ-সহ দেহের বিভিন্ন অংশে অন্তত ১০টি আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে প্রাথমিক রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। অন্যদিকে ছাত্রীর বাবার লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার রাতেই খুন ও ধর্ষণের মামলা রুজু করা হয়েছে।