শেষ আপডেট: 19th April 2023 14:15
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সূর্য তখন মধ্য গগনে। রাস্তায় মানুষের ভিড় নেই বললেই চলে। গাড়িও চলছে হাতেগোনা, বাস-ট্রামে লোক নেই প্রায়। দুপুর একটা নাগাদ কলকাতার স্ট্র্যান্ড রোডে কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশ মহম্মদ ফিরোজ ডিউটি করছিলেন (Kolkata Police fights Heat)। আচমকাই নজরে পড়ে, এক বাচ্চা ছেলে (Little Child) উদ্দেশ্যহীন ভাবে রাস্তার এদিক ওদিক ঘুরে বেড়াচ্ছে!
কিন্তু এত গরমে বাচ্চাটি ক্রমশ কাহিল হয়ে পড়তে থাকে, সঙ্গে কোনও বাড়ির লোক নেই, এমন অবস্থায় তখনই নিজের কর্তব্য স্থির করে ফেলেন ফিরোজ। ছুটে যান বাচ্চাটির কাছে। তাকে কোলে করে ট্রাফিক কিয়স্কে নিয়ে গিয়ে সুস্থ করেন। তারপর হাওড়া ট্রাফিক গার্ড পুলিশের ইনস্পেক্টর শৌভিক দেবনাথকে খবর দেন ওয়ারলেসের মাধ্যমে। দু'জনে মিলে বাচ্চাটিকে সুস্থ করিয়ে অফিসে নিয়ে যান।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, ওই দুপুরে বাচ্চাটি রাস্তায় একা একা ঘুরে বেড়াচ্ছিলই বা কেন? বাচ্চাটি নিজেই আসল কারণ জানায়। এমনকী কোথায় তার বাড়ি, বাবা-মার পরিচয় সবই জানায়। বাচ্চাটির কথায়, সালকিয়ায় থাকে সে। সকালে বাড়িতেই ছিল। এমনিতেই ভ্যাপসা গরম, তার ওপর ওর মা পড়াশোনার করার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন। কিছুক্ষণ পড়ার পর গরমে থাকতে না পেরে গঙ্গার ধারে হাওয়া খেতে যাবে বলে ভাবে সে। মায়ের নজর এড়িয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে হাঁটতে শুরুও করে, কিন্তু রাজা কাটরার কাছে পৌঁছে রোদ ও গরমের কারণে হঠাৎ খুব অস্বস্তি বোধ করতে শুরু করে।
সব শুনে বাচ্চাটির থেকে মায়ের নম্বর নিয়ে ফোন করেন অফিসাররা। ছেলেকে ঘরে না দেখে এমনিতেই চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলেন তার বাবা-মা। কোথায় যাবেন, কোথায় খুঁজবেন, ভেবেই পাচ্ছিলেন না। আচমকাই ছেলের খবর পেয়ে ছুটে যান তাঁরা। বাচ্চাটিকে সুস্থভাবে তার বাবা-মার কোলে তুলে দেন অফিসাররা। পুলিশের এমন মানবিক রূপ দেখে আপ্লুত বাচ্চাটির বাবা-মা।
শুভেন্দুর পাল্টা দাবি, ল্যান্ডলাইন থেকে ফোন করেছিলেন মমতা, কাল উচিত জবাব দেব