কলকাতা হাইকোর্ট ও অপরাধী মুস্তাকিন
শেষ আপডেট: 27th January 2025 14:35
দ্য ওয়াল ব্যুরো: জয়নগরে নাবালিকাকে ধর্ষণ-খুনের মামলা সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে গ্রহণ করা হল। নিম্ন আদালতে অভিযুক্ত মুস্তাকিনকে মৃত্যুদণ্ড এবং পঞ্চাশ হাজার টাকা জরিমানা দেওয়ার কথা হয়েছিল। সেই নির্দেশেই স্থগিতাদেশ দিল বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চ।
আরজি কর কাণ্ড নিয়ে প্রতিবাদের আগুন যখন মধ্যগগনে, দুর্গাপুজো যখন কড়া নাড়ছে দরজায়, উৎসব বয়কট করে বিক্ষোভে সামিল হওয়ার ডাক যখন ছড়িয়ে পড়ছে রাজ্যের নানা প্রান্তে, তখনই ক্ষোভের বারুদে অগ্নিস্ফূলিঙ্গ স্পর্শ করেছিল জয়নগরের ঘটনায়।
জয়নগরে নাবালিকাকে ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় দোষী মুস্তাকিন সর্দারকে ফাঁসির সাজা শুনিয়েছিল বারুইপুর পকসো আদালত। ৬১ দিনের মাথায় সাজা ঘোষণা হয়েছিল সেই ঘটনার। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত মুস্তাকিন। তার দাবি, তাড়াহুড়ো করে বিচারপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছিল। গুরুত্ব দিয়ে তার বক্তব্য শোনা হয়নি।
এদিন মুস্তাকিনের আইনজীবী জানান, "সমস্ত কাগজপত্র দেখে বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চ মামলা গ্রহণ করেছে। নিম্ন আদালত যে সাজা শুনিয়েছিল তা পুনর্বিবেচনা করবে কোর্ট। আপাতত সেই রায় স্থগিত রইল। পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকার যে জরিমানা করা হয়েছিল সেই নির্দেশেও স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে।"
তারিখটা ৪ অক্টোবর। বারুইপুর পুলিশ জেলার জয়নগর থানার মহিষমারি এলাকায় দশ বছরের এক নাবালিকার মর্মান্তিক মৃত্যু ঘটে। অভিযোগ ওঠে, মেয়েটির প্রতিবেশী, ১৯ বছরের যুবক মোস্তাকিন সর্দার নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে, গলা টিপে খুন করেছে তাকে।
সেই ঘটনারই তদন্ত শুরু হয় যুদ্ধকালীন তৎপরতায়। ৫ অক্টোবর গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্তকে। সিট গঠন করে তদন্তও শুরু হয় ৭ তারিখ থেকে। নেতৃত্বে বারুইপুর পুলিশ জেলার এস.পি পলাশ ঢালী।
এর পরে চার্জশিট জমা পড়ে ঘটনার ২৫ দিনের মাথায়, ৩০ অক্টোবর। এতটুকু সময় নষ্ট না করে, বিচার শুরু হয় ৫ নভেম্বর। মাত্র ২১ দিনের মধ্যে সম্পন্ন হয় বিচারপ্রক্রিয়া।
৬ ডিসেম্বর, সেই ঘটনার ঠিক ৬২ দিনের মাথায় সাজা ঘোষণা হয় অপরাধীর। ফাঁসির আদেশ দেন বারুইপুর জেলা এবং দায়রা আদালতের অধীন পকসো কোর্টের মাননীয় অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট জাজ সুব্রত চট্টোপাধ্যায়।