ফাইল ছবি
শেষ আপডেট: 6 May 2025 17:52
দ্য ওয়াল ব্যুরো: জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগামে জঙ্গিহানার (Jammu Kashmir Terror Attack) পর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে 'যুদ্ধং দেহি' মনোভাব নিয়েছে দেশের কেন্দ্রীয় সরকার। ইতিমধ্যে মক ড্রিলের (Mock Drill) ঘোষণা করা হয়েছে। বুধবার দেশজুড়ে বিভিন্ন এলাকায় হবে এই মহড়া। অন্যান্য একাধিক রাজ্যের মতো পশ্চিমবঙ্গেও (West Bengal) চলবে মক ড্রিল। তা নিয়ে একপ্রস্থ বৈঠকও হয়েছে মঙ্গলবার।
এদিন নবান্নে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে বৈঠকে করেছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব সহ সিভিল ডিফেন্স সচিব, ডিজি সিভিল ডিফেন্স অন্যান্যরা। সেই বৈঠকে রাজ্য প্রশাসনকে জানানো হয়েছে, বাংলা যেহেতু বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী রাজ্য, পাশাপাশি নেপাল ও ভুটানও রয়েছে, তাই এখানকার সীমান্ত সুরক্ষার জন্য বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। রাজ্যকে নিজের মতো করে সংবেদনশীল এলাকা চিহ্নিত করার জন্য বলা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে ইতিমধ্যে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, বাংলার মোট ২৩টি জেলার ৩১ মক ড্রিল হবে। মোট তিনটি বিভাগ, ক্যাটেগরি এক, দুই এবং তিনে ভাগ করে বলা হয়েছে, কোচবিহার, দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, মালদহ, শিলিগুড়ি, গ্রেটার কলকাতা, দুর্গাপুর, হলদিয়া, হাসিমারা, খড়্গপুর, বার্নপুর-আসানসোল, ফরাক্কা, খেজুরিঘাট, চিত্তরঞ্জন, বালুরঘাট, আলিপুরদুয়ার, রায়গঞ্জ, ইসলামপুর, দিনহাটা, মেখলিগঞ্জ, মাথাভাঙা, কালিম্পং, জলঢাকা, কার্শিয়াং, কোলাঘাট, বর্ধমান, বীরভূম, পূর্ব-পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি, মুর্শিদাবাদে মহড়া হবে।
রাজ্য প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, প্রশাসনের হাতে ৬২টি স্যাটেলাইট ফোন রয়েছে। কলকাতায় সাইরেন রয়েছে ৯৫টি। বিভিন্ন জেলায় সাইরেন রয়েছে ২৫-৩০টি করে। আর জেলা সদরে রয়েছে ১টি করে। এও বলা হয়েছে, বুধবার থেকে সাতদিন পর্যায়ক্রমে মক ড্রিল হবে রাজ্য জুড়ে। এই মক ড্রিলে সাধারণ মানুষকে যুক্ত করা হবে না, তবে নিরাপত্তার সঙ্গে জড়িত সবাইকেই অংশ নিতে হবে, যাতে আপৎকালীন পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা দেওয়া যায়।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, মহড়ায় অংশ নেবেন জেলাশাসক-সহ জেলা প্রশাসনের অন্যান্য আধিকারিক, নাগরির সুরক্ষা কর্মী, হোমগার্ডেরা। এ ছাড়াও মহড়ায় অংশ নিতে বলা হয়েছে এনসিসি ক্যাডেট, নেহরু যুব কেন্দ্র সংগঠনের সদস্য এবং স্কুল-কলেজের পড়ুয়াদের। মূলত যে যে বিষয়ে মহড়া দিতে বলা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে, বিমান হামলার সতর্কতা সাইরেন ব্যবস্থাকে সক্রিয় করা, নাগরিকদের সুরক্ষার স্বার্থে সাধারণ মানুষ, বিশেষত পড়ুয়াদের ভূমিকা কী হবে, হঠাৎ ব্ল্যাকআউট হলে কী করণীয় এবং জরুরি পরিস্থিতিতে কী ভাবে দ্রুত উদ্ধারকাজ চালানো হবে।