শেষ আপডেট: 26th September 2023 08:03
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মশা মারতে এবার হয়ত কামান দাগতেই হবে। শুধু পাড়ায় পাড়ায় কীটনাশক ছড়িয়ে আর কাজ হচ্ছে না। এবার আম জনতার হাতেও মশা (Dengue) নিধন করার ওষুধ তুলে দিতে চাইছে পুরসভা। জানা গেছে, মশার লার্ভা মারতে কীটনাশক টেমিফস (Temefos) দেবে পুরসভা। এই কীটনাশক মারাত্মক। মাত্র তিন সেকেন্ডেই নাকি মশার লার্ভা নিকেশ হবে। দোকানে এই ওষুধ কিনতে পাওয়া যায় না। কিন্তু এবার পুরসভা নিজে উদ্যোগ নিয়ে সাধারণ মানুষের হাতে এই কীটনাশক তুলে দেবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, টেমিফস ৫০% হল একধরনের বিষ যার সংস্পর্শে এলেই এডিস ইজিপ্টাই মশার লার্ভা নষ্ট হয়ে যাবে। ন্যাশনাল ভেক্টর বর্ন ডিজিজ কন্ট্রোল প্রোগ্রামের অনুমোদিত এই কীটনাশক দোকানে কিনতে পাওয়া যায় না। সাধারণের পক্ষে তা সংগ্রহ করাও সম্ভব নয়। কিন্তু যেভাবে মশার বংশবৃদ্ধি হচ্ছে তাতে এবার এই কীটনাশক বিলি করার কথাই ভাবছেন পুরসভার বিশেষজ্ঞরা।
বর্ষার শুরু থেকেই শহরে ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া-সহ মশাবাহিত রোগ বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। তার জেরে ইতিমধ্যেই বহু মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়েছে। ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। এই বর্ষায় বৃষ্টিতে জমা জলে মশার বংশবৃদ্ধি হচ্ছে।
পতঙ্গবিদেরা বলছেন, এক সময় ম্যালেরিয়া নিবারণ কর্মসূচিতে অ্যানোফিলিস স্টিফেনসাইয়ের বংশ লোপ করতে প্রয়োগ করা হতো ডিডিটি। তাতে ছয়-সাতের দশকে নিয়ন্ত্রণ করা গিয়েছিল ম্যালেরিয়া। ওই কীটনাশকে মারা যাচ্ছিল অ্যানোফিলিস স্টিফেনসাই মশার লার্ভা এবং পূর্ণাঙ্গ মশা। কিন্তু দেখা গেল, মশারা শেষ পর্যন্ত হার মানেনি। এখন তো ডেঙ্গির একাধিক প্রজাতি মাথাচাড়া দিয়েছে। ডিডিটি ছড়ালেও আর মশা মারছে না। জিনগত পরিবর্তন ঘটিয়ে তারা ডিডিটি প্রতিরোধী হয়ে গিয়েছে। এখন পূর্ণাঙ্গ এডিস মশা মারার জন্য কলকাতা পুরসভা বাড়ির ভিতরে পাইরিথ্রিন স্প্রে করে। আর বাড়ির বাইরে মশার লার্ভা মারার জন্য ব্যবহার করে বিটিআই, টেমিফস জাতীয় কীটনাশক। আপাতত ওই সব কীটনাশকে মশা ও লার্ভা মারা যাচ্ছে বলে দাবি পুরসভার পতঙ্গবিদদের।