শেষ আপডেট: 11th March 2024 13:55
দ্য ওয়াল ব্যুরো, পূর্ব বর্ধমান: নিজেকে কিছুতেই 'বহিরাগত' বলতে রাজি নন সদ্যঘোষিত তৃণমূল কংগ্রেসের বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রের প্রার্থী কীর্তি আজাদ।
শনিবার রাতে তিনি বর্ধমানের বিধায়ক খোকন দাসের অফিসে আসেন। সেখানেই সোজা ব্যাটে নানা প্রশ্ন সামলালেন। বললেন, "আমি মিথিলাঞ্চলের লোক। মৈথিলী একটা প্রাচীন ভাষা। আমাদের রীতিনীতি অনেকটা মেলে বাংলার সাথে। বাকিটা শিখে নেব। কোনও রাজ্যের নয়, দেশের হয়ে খেলেছি। আর মোদীজিও তো গুজরাট নয়, বেনারসে লোকসভায় দাঁড়ান।"
ভাষা সমস্যা হবে কী না এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, "আমি বাংলা বুঝতে পারি। বলতে পারি না।"
জিতলে তাকে কতটা পাওয়া যাবে? আজাদ বলেন, "একবার জেতা যায়। আমি নিজের এলাকায় কাজ করেছি বলে তিনবার জিতেছি।"
তিনি জানান, সব কেন্দ্রের কিছু সাধারণ সমস্যা আছে। কিছু বিশেষ চাহিদা আছে। মানুষের আশীর্বাদ পেলে তিনি সংসদে সেগুলিই তুলে ধরবেন। তিনি বলেন, "মমতা করুণার প্রতিমূর্তি। তিনি মহিষাসুরমর্দিনী। তাই তাঁর সঙ্গে এসেছি। এ রাজ্যের মানুষের ন্যয্য পাওনা দেয়নি কেন্দ্র। কোনও প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেননি৷ বিজেপি এই কেন্দ্রে মাত্র একবারই জিতেছে। তাই আমি তা নিয়ে ভাবিত নই। জয়ী হলে দুর্গাপুর বর্ধমানের মানুষের জন্য কাজ করব।"
রবিবার কলকাতায় তাঁর নাম ঘোষণার পরেই রাত সাড়ে ৯ টার সময় বর্ধমান শহরের কার্জনগেট চত্বরে সদ্য ঘোষিত বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী কীর্তি আজাদ উপস্থিত হন। তিনি আসবেন এই খবর জানাজানি হবার পর সন্ধে থেকেই শহরের তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকরা উপস্থিত হন।
কীর্তি আজাদের সঙ্গে ছিলেন পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক তথা পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। কীর্তি আজাদকে কার্জনগেট চত্বরে সংবর্ধনা দেন বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাস, জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের যুব সভাপতি রাসবিহারী হালদার।