শেষ আপডেট: 24th November 2021 01:54
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বাইশ গজের ইনিংস শেষ করেছেন অনেক দিন আগেই। তারপর রাজনীতির ক্রিজেও তাঁর স্ট্রাইক রেট ছিল দেখার মতো। প্রথমে বিজেপির সাংসদ, তারপর কংগ্রেসের। সেই দুই পর্ব ত্যাগ করে মঙ্গলবার দিল্লিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত থেকে জোড়াফুলের উত্তরীয় পরেছেন প্রাক্তন ক্রিকেটার কীর্তি আজাদ (Kirti Azad)। দিদির দলে যোগ দিয়ে ’৮৩-র বিশ্বকাপ জয়ী দলের অন্যতম সদস্য দ্য ওয়াল-কে জানালেন, সনিয়া গান্ধী তাঁর মায়ের মতো। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিদি। তিনি সকলের নেত্রী। নিটে স্বপ্নের রেজাল্ট! কীভাবে খাতায় উত্তর লিখেছিলেন? ফাঁস করলেন বেঙ্গালুরুর কৃতী এমনিতে এখন তৃণমূলে অন্য দলের নেতারা যোগ দিলেই বেশিরভাগই কিছু না কিছু পাচ্ছেন। কংগ্রেস থেকে আসা দুই মুখ অসমের সুস্মিতা দেব এবং গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফেলারিওকে সংসদের উচ্চকক্ষে পাঠিয়েছেন দিদি। নিন্দুকদের অনেকে বলছেন, তৃণমূল এই সমস্ত নেতাদের কিনে নিচ্ছে। তাঁদের মুখকে ব্যবহার করার বদলে একটা করে রাজ্যসভার আসন ধরিয়ে দিচ্ছে। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই কৌতূহল জাগে, কী পাবেন কীর্তি? কেন এলেন তৃণমূলে? কিছু পেতেই কি দলবদল? বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী প্রয়াত ভগবৎ ঝা আজাদের পুত্র কীর্তি সোজাসুজি বলে দিলেন, আমি স্বাধীনতা সেনানীর ছেলে। আমাকে কেনা যায় না। কংগ্রেস সম্পর্কে তাঁর কোনও রাগ বা অভিমানের কথা তিনি প্রকাশ করেননি। বলেছেন, আমার কাছে সনিয়া গান্ধী মায়ের মতো। রাহুল গান্ধী ছোট ভাইয়ের মতো। তাঁদের বিরুদ্ধে আমি কিচ্ছু বলব না। কিন্তু আজাদের আক্ষেপ, ‘দেশের এই সংকট কালে আমি ঘরে বসেছিলাম। কংগ্রেস আমায় কোনও কাজ করার সুযোগ দিচ্ছিল না। দমবন্ধ লাগছিল!’ এমনিতে বিজেপিতে থাকার সময়ে নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহদের সঙ্গে কোনওদিনই বনিবনা ছিল না আজাদের। কারণ, আজাদের মূল বিবাদ ছিল অরুণ জেটলির সঙ্গে। আবার জেটলি ছিলেন মোদী-শাহর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ও পরামর্শদাতা। তারপরই বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে আসেন তিনি। তাঁকে সাংসদও করে সাবেক দল। এদিন বিজেপি সম্পর্কে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে আজাদ বলেন, সেই বিজেপি আর এই বিজেপি এক না। অটলবিহারী বাজপেয়ী, লালকৃষ্ণ আডবাণীদের বিজেপির সঙ্গে মোদী-শাহের বিজেপির অনেক ফারাক। প্রসঙ্গত, এ কথা মমতাও প্রায়ই বলেন। বাজপেয়ী মন্ত্রিসভায় তিনি মন্ত্রী ছিলেন। মমতা বলেন, সেই বিজেপির সঙ্গে এই বিজেপির কোনও মিল নেই। দুটো দানবীয় লোক দাপাচ্ছে, মানবিকতা ভুলুণ্ঠিত। আজাদ বলেছেন, এই বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করার মুখ এখন মমতাই। দিদির মতো শক্তপোক্ত নেতা দেশে আর দ্বিতীয় কেউ নেই। বিজেপি বিরোধী লড়াইয়ে দেশের মানুষের ভরসাও তিনিই। তিনি হলেন সেই সেনাপতি যিনি সামনে থেকে বাহিনীকে নেতৃত্ব দেন। সেনারা লড়াইয়ে উদ্বুদ্ধ হন। এখন কীর্তিকে তৃণমূল কী কাজ দেয় সেটাই এখন দেখার। পড়ুন দ্য ওয়ালের সাহিত্য পত্রিকা 'সুখপাঠ'