শেষ আপডেট: 7th February 2025 23:39
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বিস্ফোরণে গুরুতর আহত হয়েছিলেন কল্যাণীর বাজি কারখানার মালিক খোকন বিশ্বাস। কিন্তু তিনি হাসপাতালে না গিয়ে পালিয়েছিলেন! অবশেষে ৭ ঘণ্টা পর তাঁকে ধরতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। মোবাইল টাওয়ার লোকেশনের সূত্র ধরেই খোকেনের সন্ধান পায় তাঁরা।
পুলিশ প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছে ওই দোকানে আতসবাজি বিক্রির অনুমতি ছিল ঠিকই। কিন্তু দোকানের আড়ালেই অবৈধ ভাবে বাজির কারখানা চলত। তাই স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনার দায় গিয়ে পড়ে খোকনের ওপর। কিন্তু বিস্ফোরণের পরই সে 'গায়েব' হয়ে যায়। বার বার তাঁর মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন বদলাচ্ছিল। শেষে নিজের ফোন বন্ধও করে দেন খোকেন। তবে শেষরক্ষা হয়নি। এক সঙ্গীর মাধ্যমেই তাঁর হদিস পায় পুলিশ। কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ের আশপাশের একটি এলাকা থেকেই গ্রেফতার করা হয় তাঁকে।
শুক্রবার দুপুরে রথতলায় বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় যে চার জনের মৃত্যু হয়েছে তাঁদের নাম বাসন্তী চৌধুরী, অঞ্জলি বিশ্বাস, রুমা সোনার এবং দুর্গা সাহা। এক মহিলা গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর নাম উজ্জ্বলা ভুঁইয়া। এই ঘটনায় মৃতদের পরিবার পিছু ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলে ইতিমধ্যে জানিয়েছে নবান্ন।
বেআইনি বাজি কারখানার বাড়বাড়ন্ত নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠেছে বারবার। ঘিঞ্জি এলাকায় এমন সব কারখানা নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েও যে খুব একটা লাভ হয়েছে তা নয়। কল্যাণীর ঘটনা তো আরও এক কাঠি ওপরে। কারণ যেখানে বিস্ফোরণ ঘটেছে সেই ২০ নং ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলরের দাবি, এতদিন যে এখানে বাজি কারখানা ছিল সেটাই তিনি জানতেন না। তাঁর কথায়, "সবটা জানতে পারলাম এদিন বিস্ফোরণ হওয়ার পর। তবে এটা কোনও কারখানা নয়। একটা বাড়ির মধ্যে চলছিল।"
পুলিশ-প্রশাসনের নাকের ডগায় এই বেআইনি 'কারখানা' এত দিন চলছিল কী করে, সেই নিয়ে স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠেছে। এখন দেখার খোকন বিশ্বাসকে জেরা করে কী তথ্য হাতে পায় পুলিশ।