শেষ আপডেট: 13th November 2022 06:24
দ্য ওয়াল ব্যুরো: কেরলে রাজ্য (Kerala government)-রাজ্যপাল (Governor) সংঘাতে নয়া মাত্রা যোগ করল একটি অর্ডিন্যান্স। শনিবার জারি করা রাজ্য সরকারের ওই অর্ডিন্যান্সের মূল বিষয় হল, রাজ্যপাল আর রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য পদে থাকবেন না। ওই পদে বসানো হবে শিক্ষা জগতের কোন বিশিষ্টজনকে।
গত বুধবারই কেরলের সিপিএম সরকার ঘোষণা করেছিল, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ ঘিরে রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান (Arif Mohammed Khan) যেভাবে ক্ষমতা প্রয়োগের পথে হাঁটছেন তার অবসানে তাঁকে আচার্য পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া ছাড়া কোনও উপায় নেই। শনিবার এইজন্য অর্ডিন্যান্স জারি করে তা রাজভবনে (Raj Bhavan) পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
এদিকে রাজ্যপালের ডানা ছাঁটার এই উদ্যোগ ঘিরেও তৈরি হয়েছে নয়া জটিলতা। রাজ্যপাল খান অর্ডিন্যান্স জারির খবর শুনেই জানিয়ে দেন, তিনি এটিতে সই করবেন না। পাঠিয়ে দেবেন রাষ্ট্রপতির কাছে।
এদিকে বিরোধী দলগুলি রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে। বিজেপি ও কংগ্রেসের বক্তব্য, সিপিএম সরকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে আসলে মার্কসবাদ চর্চা কেন্দ্র করে তুলতে চায়। তাই পছন্দের লোককে উপাচার্য পদে বসাতে নিজেদের বুদ্ধিজীবীদের আচার্য করতে চাইছে।
প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে রাজ্যপাল খান কেরল প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে তাঁর পছন্দের এক অফিসারকে নিয়োগ করেছেন রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই। ওই সিদ্ধান্তের তীব্র আপত্তি তুলে মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের নির্দেশে উচ্চশিক্ষা দফতর হাইকোর্টে মামলা করে। আদালত রাজ্যপালের সিদ্ধান্তে আপত্তি তুলে রাজভবনের জবাব তলব করেছে।
এর আগে রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান নয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের ২৪ ঘণ্টার নোটিসে পদত্যাগ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। ওই নির্দেশও খারিজ করে দেয় আদালত।
উপাচার্য নিয়োগে রাজ্যপালের ক্ষমতা খর্ব করে একটি বিল কেরল বিধানসভায় গত বছর পাশ করায় রাজ্য সরকার। রাজভবন এখনও সেই বিলে সম্মতি দেয়নি। সেই বিল নিয়ে বিরোধের মধ্যেই এবার রাজ্যপালকে আচার্যের পদ থেকে সরাতে অর্ডিন্যান্স জারি করা হল।
কেরলের উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী জানিয়েছেন, রাজ্যপাল অর্ডিন্যান্স সই না করলে প্রয়োজনে বিধানসভার বিশেষ অধিবেশন ডেকে বিল পাশ করানো হবে।
প্রসঙ্গত, মাস কয়েক আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার রাজ্যপালকে আচার্যের পদ থেকে সরিয়ে দিয়ে বিল পাশ করিয়েছে বিধানসভায়। সেই বিল যদিও রাজভবনে আটকে আছে। রাজ্য সরকার মুখ্যমন্ত্রীকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য পদে বসাতে চেয়েছে। কেরলে সিপিএম সরকার জানিয়েছে তারা শিক্ষা জগতের বিশিষ্টজনকে ওই পদে বসাতে চায়।
বদলে দেওয়া হবে মোদী স্টেডিয়ামের নাম, গুজরাতে ঘোষণা কংগ্রেসের