শিক্ষামহলের একাংশের মতে, আদালতের এই নির্দেশ শুধু কসবাকাণ্ডের প্রতিক্রিয়া নয়, দীর্ঘদিন ধরেই কলেজে ইউনিয়ন ঘিরে চলা অরাজকতা ও দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে কড়া বার্তা।
গ্রাফিক্স- দ্য ওয়াল।
শেষ আপডেট: 3 July 2025 08:40
দ্য ওয়াল ব্যুরো: কসবায় (Kasba Case) আইন কলেজের ইউনিয়ন রুমে ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এবার বড় পদক্ষেপ নিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)।
এদিন এই সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে রাজ্যের সমস্ত কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে (College-University) স্টুডেন্ট ইউনিয়ন (Student Union Rooms ) রুম বন্ধের নির্দেশ দিল বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি স্মিতা দে-র ডিভিশন বেঞ্চ। এই নির্দেশ কার্যকর করতে রাজ্যের উচ্চ শিক্ষা দফতরকে অবিলম্বে নোটিস জারি করারও নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
গত ২৫ জুন কসবার আইন কলেজের ইউনিয়ন রুমে এক ছাত্রীকে আটকে রেখে গণধর্ষণ করার অভিযোগ ওঠে। সেই সূত্রে এই অভিযোগও সামনে আসে যে রাজ্যের একাধিক কলেজের ইউনিয়নরুমে বহিরাগতদের আড্ডা এবং অসামাজিক কার্যকলাপ হচ্ছে।এ ব্যাপারে আইনজীবী সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন।
মামলায় তিনি আদালতে বলেন, রাজ্যের কোনও কলেজেই বর্তমানে স্টুডেন্ট ইউনিয়ন গঠন হয়নি, এমনকি উচ্চ শিক্ষা দফতরের কাছ থেকে RTI-এর জবাবেও তা স্পষ্ট হয়েছে। ফলে ইউনিয়ন না থাকলে ইউনিয়ন রুম খোলা রাখার যৌক্তিকতা কোথায়? এই প্রশ্নও তোলেন।
এরপরই মামলার শুনানিতে বিচারপতিরা জানিয়ে দেন, সব কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে অবিলম্বে ইউনিয়ন রুম বন্ধ করতে হবে। সেই সঙ্গে রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে, ওই ঘর কোনওভাবেই অন্য কোনও উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা যাবে না। যদি বিশেষ কোনও পরিস্থিতিতে রুম ব্যবহার করার দরকার হয়, তবে সংশ্লিষ্ট কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানাতে হবে।
এই রায় ঘিরে রাজ্যের শিক্ষা মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। শিক্ষামহলের একাংশের মতে, আদালতের এই নির্দেশ শুধু কসবাকাণ্ডের প্রতিক্রিয়া নয়, দীর্ঘদিন ধরেই কলেজে ইউনিয়ন ঘিরে চলা অরাজকতা ও দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে কড়া বার্তা।