শেষ আপডেট: 11th January 2025 10:08
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মেদিনীপুর মেডিক্যালে এক প্রসূতির মৃত্যু এবং আরও চার প্রসূতির আশঙ্কাজনক পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার ঘটনায় এবার সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য।
সূত্রের খবর, এ ব্যাপারে মেদিনীপুর মেডিক্যালের তরফে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরে যে রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে, 'পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যাল' নামে যে কোম্পানির স্যালাইন ব্যবহার করা হয়েছিল, তার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ায় মৃত্যু হয়েছে রোগিনীর।
এ ব্যাপারে চিকিৎসক মানস গুমটার দাবি, আগেই ওই স্যালাইনটিকে নিষিদ্ধও ঘোষণা করা হয়েছিল রাজ্যের তরফে।
স্বভাবতই প্রশ্ন উঠছে, সরকারি হাসপাতালে নিষিদ্ধ স্যালাইনের ব্যবহার করা হল কীভাবে?
সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে স্বাস্থ্যভবন। নিষিদ্ধ ঘোষণা করার পরও কীভাবে সংশ্লিষ্ট কোম্পানির স্যালাইন ব্যবহার করা হল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
জানা যাচ্ছে, যে স্যালনটিকে ঘিরে অভিযোগ উঠেছে, সেটির কারখানাও রয়েছে এ রাজ্যেই। উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায় রয়েছে সংশ্লিষ্ট ওষুধ কোম্পানির কারখানা। অভিযোগ, চোপড়ার এই কারখানার স্যালাইন ব্যবহার করে গত বছর কর্নাটকে পাঁচজন রোগিনীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছিল। এরপরই গত নভেম্বরে ওই ওষুধ কোম্পানির স্যালাইন পরীক্ষা করে কর্নাটক ড্রাগ কন্ট্রোল ব্যুরো সেটিকে ব্ল্যাক লিস্টেড করে। দাবি করা হয়, স্যালাইনে যে নমুনাগুলি ব্যবহার করা হয়, সংশ্লিষ্ট কোম্পানির স্যালাইনে তা অত্যন্ত নিম্নমানের।
গত বছরের ৪ থেকে ৬ ডিসেম্বর কর্নাটক ড্রাগ কন্ট্রোল ব্যুরো, কেন্দ্র এবং এ রাজ্যের ড্রাগ কন্ট্রোলের প্রতিনিধিদের নিয়ে টানা ৩ দিন ধরে চোপড়ার ওই কারখানায় অভিযানও চালায়। সূত্রের দাবি, এরপরইএ রাজ্যেও সংশ্লিষ্ট কোম্পানির স্যালাইন নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল।
অভিযোগ, শুক্রবার মেদিনীপুর মেডিক্যালে রোগিনীকে ওই স্যালাইন দেওয়ার পরই এক প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে। আরও চারজন অসুস্থ। তাদের মধযে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। স্বভাবতই প্রশ্ন উঠছে, রাজ্যের তরফে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা কোম্পানির স্যালাইন কীভাবে সরকারি হাসপাতালে গেল?
ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্তে ১৩ সদস্যের মেডিক্যাল টিম গঠন করেছে স্বাস্থ্য ভবন। স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম বলেন, "অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কারও গাফিলতি প্রমাণিত হলে পদক্ষেপ করা হবে।"