কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
শেষ আপডেট: 28 April 2025 08:41
দ্য ওয়াল ব্যুরো: প্রাথমিকে ৩২ হাজার চাকরি বাতিলের মামলার (32,000 Job Cancellation Case) কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court ) তীব্র সওয়াল করলেন মামলাকারীদের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan Banerjee)।
এদিন বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর বেঞ্চে মামলাটি ওঠে। সেখানে মামলাকারীদের হয়ে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় আদালতে বলেন, "সুপ্রিম কোর্ট চাকরি বাতিলদের বক্তব্য শুনতে বলেছে। আপনি আমাদেরকে বলার সুযোগ দিন।" বোর্ডের পেপার বুক নিয়েও এদিন আদালতে প্রশ্ন তোলেন কল্যাণ।
এরপরই আদালত জানায়, চাকরি বাতিল মামলার শুনানি শুরু হবে আগামী ৭ মে। প্রথম সওয়াল করবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। ওই দিনই মামলার সব পক্ষকে কাগজপত্র আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিচারপতি জানিয়েছেন, একসঙ্গে একাধিক আইনজীবীর বক্তব্য শোনার মতো সময় নেই আদালতের। তাই যে আইনজীবীদের বক্তব্য, বিষয় একই, কোনও এক জনের নেতৃত্বে তাঁদের আদালতে নিজেদের বক্তব্য একসঙ্গে পেশ করতে হবে।
২০১৪ সালের টেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিলেন প্রায় ১ লক্ষ ২৫ হাজার প্রার্থী। ২০১৬ সালে তাঁদের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করে পর্ষদ। টেট উত্তীর্ণদের মধ্যে থেকে চাকরি দেওয়া হয় ৪২ হাজার ৯৪৯ জনকে। তবে ওই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় একাধিক ‘ত্রুটি’ রয়েছে বলে অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা হয়েছিল।
সেই মামলার প্রেক্ষিতেই কলকাতা হাইকোর্টের তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে চাকরিচ্যুত হন প্রশিক্ষণহীন ৩২ হাজার শিক্ষক। প্রাক্তন বিচারপতির রায় ছিল, চাকরি বাতিল হলেও ওই শিক্ষকরা স্কুলে যাবেন। তবে তিন মাসের মধ্যে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে রাজ্যকে।
সুপ্রিম কোর্ট এসএসসি মামলায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল করে। প্রথমে এই রায় দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। সেই রায়ই বহাল রাখে সুপ্রিম কোর্ট। এসএসসি-র মতো প্রাথমিকের মামলাতেও (WB Primary Recruitment Case) ৩২ হাজার চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেয় রাজ্যের উচ্চ আদালত।
সোমবার বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি ঋতব্রতকুমার মিত্রের ডিভিশন বেঞ্চে ওই মামলার শুনানি হয়। অতীতে এই মামলায় তৎকালীন বিচারপতি তথা অধুনা তমলুকের বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন।
ওই নির্দেশের বিরুদ্ধে ডিভিশন বেঞ্চে আপিল করেছিল রাজ্য। গত ৭ এপ্রিল ডিভিশন বেঞ্চে ওই মামলার শুনানি ছিল। কিন্তু ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে এই মামলা থেকে অব্যাহতি নেন বিচারপতি সৌমেন সেন। তাই মামলার শুনানি হয়নি।