শেষ আপডেট: 4th March 2024 15:49
দ্য ওয়াল ব্যুরো: একরাশ ক্ষোভ এবং হতাশা নিয়ে তৃণমূল ছেড়েছেন বর্ষীয়ান নেতা তাপস রায়। সোমবার সাংবাদিকদের তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, সন্দেশখালি ও দলের দুর্নীতির কারণে মুখ দেখাতে পারছেন না। পাশাপাশি বাড়িতে ইডি আসার পরও দলীয় নেতৃত্বের পক্ষ থেকে খোঁজ নেওয়া হয়নি বলে দাবি তাঁর। কিন্তু তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় তাপস রায়ের কোনও অভিযোগকেই কার্যত গুরুত্ব দেননি। বরং তিনি তাঁকে ধান্দাবাজ বলে কটাক্ষ করেছেন।
তাপস রায়ের পদত্যাগ প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ''তাপস ধান্দাবাজ লোক। দল থেকে অনেক সুবিধা নিয়েছেন। এখন সুযোগ বুঝে অন্য দলে যাওয়ার চেষ্টা করছেন।'' কল্যাণের কথায়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে অনেক মিনতি করে দলে ঢুকেছিলেন তাপস রায়। কিন্তু এখন সব ভুলে অন্য সুযোগ কাজ লাগানোর জন্য চেষ্টা করছেন তিনি। কল্যাণ এও দাবি করেছেন, আসন্ন লোকসভা ভোটে উত্তর কলকাতার টিকিট চেয়েছিলেন তাপস রায়। দলের ওপর চাপও তৈরি করছিলেন তিনি। কিন্তু অবশেষে যখন বুঝেছেন যে লাভ হবে না, তখনই দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিলেন।
অতীতে একাধিকবার দেখা গেছে, এক দল ছেড়ে অন্য দলে গিয়েও অনেকে পুরনো দলে ফিরে এসেছেন। তৃণমূলের ক্ষেত্রেও এই উদাহরণ অজস্র। তাপস রায়ও যদি পরবর্তী সময়ে এমন করতে চান তাহলে কী হবে? কল্যাণের সপাট উত্তর, ইডির ভয়ে অন্য দলে যাচ্ছেন তাপস। পরে ভোটে দাঁড়িয়ে হারার পর তিনি যদি আবার তৃণমূলে ফিরতে চান, তাহলে তাঁকে যেন না নেওয়া হয়, এই আর্জি তিনি দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে করবেন। দরকার পড়লে, তিনি নিজে তাঁকে আটকাতে সামনের সারিতে থাকবেন, এমনটাই জানান কল্য়াণ বন্দ্যোপাধ্য়ায়।
বেশ কিছুদিন ধরেই রাজ্যের প্রবীণ বিধায়ক তাপস রায় দলবিরোধী কথাবার্তা বলছিলেন। দলীয় নেতৃত্বকেও কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে বেশ কিছু মন্তব্য করেছেন বরানগরের বিধায়ক। তাঁর প্রতি দলীয় 'বঞ্চনা'র অভিমানের সুরও শোনা গিয়েছে তাপসের মুখে। সোমবার সকালেই তাপস রায়ের বউবাজারের বাড়িতে গেছিলেন ব্রাত্য বসু ও কুণাল ঘোষ। তাঁকে বোঝানোর চেষ্টা করেন তাঁরা। কিন্তু লাভের লাভ কিছুই হয়নি। তাপস রায় নিজের সিদ্ধান্ত জানাতে গিয়ে বলেন, শাহজাহানকে নিয়ে দল এবং শীর্ষ নেতৃত্ব প্রতিবাদ করলেও তাঁর সম্পর্কে একটি কথাও কেউ বলেননি। এই অবস্থা তাঁর পক্ষে আর মেনে নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।