Date : 9th Jul, 2025 | Call 1800 452 567 | info@thewall.in
'গান্ধীবাদী নই, বাল ঠাকরের থেকে শিখেছি', ক্যান্টিন কর্মীকে পিটিয়ে সাফাই শিবসেনা বিধায়কেরঅচল একমাত্র কেরল, স্বাভাবিক ভারত, বিহার বনধে শক্তি প্রদর্শন মহাগাঁটবন্ধনেরসঙ্গে পোষ্য, তাই উইম্বলডনের ক্যাফেতে ঢুকতে পারলেন না নাভ্রাতিলোভা, সমাজমাধ্যমে বিতর্কBharat Bandh: বুনিয়াদপুরে পিকেটিংয়ে বাধা, সিপিএম নেতাকে চড় থানার আইসি-র! প্রবল উত্তেজনাপ্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের নির্দেশ দেন হাসিনাই, দাবি বিবিসি'র, কী বলছেন আওয়ামী লিগ নেত্রীBharat Bandh: সিপিএমের মিছিল থেকে কুশপুতুল-টায়ার জ্বালানোর সময় অগ্নিকাণ্ড, যাদবপুরে আতঙ্ক‘চারদিন অন্তর দাড়ি রং করার মানে সরে যাওয়ার সময় এসেছে’, অবসর নিয়ে প্রথমবার মুখ খুললেন বিরাটBharat Bandh: পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে আহত বামনেতা সৃজন, চ্যাংদোলা করে তোলা হয় প্রিজন ভ্যানেঅবরোধের জেরে বিভিন্ন স্টেশনে দাঁড়িয়ে ট্রেন, অফিস টাইমে নাকাল যাত্রীরাবেঙ্গালুরুতে গ্রেফতার আলিয়ার প্রাক্তন সহকারী, তিন বছরে ৭৭ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগ
Kalyan Banerjee

'বিজেপি হোক বা সিপিএম, বিরোধীদের ভয় পাই না, দলের লোককে ভয় পাই!' কেন এমন কথা বললেন কল্যাণ?

দলীয় অনুষ্ঠানের মঞ্চে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, বিজেপি হোক বা সিপিএম, কাউকে ভয় পান না তিনি, কিন্তু তাঁর ভয় পাওয়ার মতো লোক দলেই আছে।

'বিজেপি হোক বা সিপিএম, বিরোধীদের ভয় পাই না, দলের লোককে ভয় পাই!' কেন এমন কথা বললেন কল্যাণ?

কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: 27 April 2025 09:39

দ্য ওয়াল ব্যুরো: 'আমি সিপিএমের বিরুদ্ধে লড়াই করে বড় হয়েছি। বিজেপি বা সিপিএম—কাউকেই ভয় পাই না। বরং দলের ভেতরের লোকজনের কাছেই ভয় হয়।' রবিবার একটি দলীয় অনুষ্ঠানে নিজের রাজনৈতিক জীবনের কথা উল্লেখ করতে গিয়ে এমনটাই বললেন তৃণমূল নেতা কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। 

তিনি এদিন আরও জানান, দিদি (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) বারবার অনুরোধ করতেন, যাতে দলের ভেতরে সত্যিকারের কর্মীদের খুঁজে বের করা যায়। মমতার পরামর্শেই কুণাল ঘোষের সঙ্গে আলোচনা করে নতুন সংগঠনের কথা ভাবা হয়েছিল বলে উল্লেখ করেন কল্যাণ। তিনি আরও বলেন, 'দুর্দিনের সময় আমি আর কুণাল ঘোষ একসঙ্গে লড়াই করেছি। প্রচুর সমালোচনা শুনতে হয়েছে। তবে মনে রাখবেন, যাঁর উপকার করবেন, অনেক সময় তিনিই আপনার মাথায় আঘাত করবেন।'

পাশাপাশি, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন চিকিৎসা ক্ষেত্রে ও চিকিৎসকদের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবদানের কথা তুলে ধরে বলেন, 'যদি প্রকৃত কর্মসূচিমাফিক কাজ করা যায়, তাহলে একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই সবসময় আপনাদের কথা ভাবেন। মনে রাখবেন, উনিই ছিলেন রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী। অন্য রাজনৈতিক দলগুলির উদ্দেশ্য আপনাদের ক্ষতি করা হলেও, মমতার নেতৃত্বে আমরা সবসময় সেই ক্ষতির ঊর্ধ্বে উঠে আপনাদের পাশে থাকব। আপনারা ভয়ের কিছু নেই, কাজ করে যান। প্রয়োজনে আমরা পাশে আছি।'

দল নিয়ে সমস্যার কথা অবশ্য কল্যাণ এই প্রথম তুললেন, তা নয়। কিছুদিন আগেই তৃণমূল ও আই-প্যাকের সংযোগ নিয়ে অনেক বিস্ফোরক কথা বলেছিলেন কল্যাণ। দাবি করেছিলেন, আই-প্যাক অসৎ। তারা টাকা নিয়ে পার্টিতে অনেককে পদ দিয়েছে। সেই টাকায় রাতভর ফূর্তি করেছে। রাজনৈতিক নেতা কর্মীর যোগ্যতা বিচারের জন্য এমন ঠিকাদার চাই না। 

দ্য ওয়ালকে দেওয়া এক এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, 'আই-প্যাক যে অসততা করেছে, তার গভীর প্রভাব তৃণমূলের সংগঠনের উপর পড়েছে। আই-প্যাক বলুন বা যাঁর নাম বলছেন (পড়ুন প্রতীক জৈন) তাঁদের লোকেদের কথা বলুন, সততা নিয়ে অনেক রকম প্রশ্ন রয়েছে। আই-প্যাকের লোকেরা লোকাল এরিয়ায় গিয়ে লোকের কাছ থেকে টাকা নিয়ে একে তাকে প্রেসিডেন্ট করেছে। তার পর গোটা রাত ধরে পার্টি হয়েছে।' 

সেই থেকেই জল্পনা ঘনিয়েছিল দলের অন্দরের সংঘাত নিয়ে। কারণ তৃণমূলের অনেকেই আই-প্যাককে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে জুড়ে দেখেন। কারণ, উনিশের লোকসভা ভোটে তৃণমূলের বিপর্যয়ের পর অভিষেকই আই-প্যাককে কলকাতায় এনেছিলেন। 

তবে কল্যাণ সে সময়ে এ-ও বলেন, 'আই-প্যাককে তৃণমূলের প্রচার ও কৌশলের দায়িত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত অভিষেকের একার ছিল না। তা ছিল সমষ্টিগত সিদ্ধান্ত। দলের শীর্ষ স্তরে থেকে সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সুতরাং দল আই-প্যাককে যে অ্যাপয়েন্টমেন্ট দিয়েছিল সেটাই ভুল হয়েছিল।'

কল্যাণের এই কথায় রাজ্য রাজনীতিতে প্রতিক্রিয়ার সম্ভাবনার দরজা খুলে দিয়েছিল ষোলো আনা। তৃণমূলের অন্দরও তাতে আন্দোলিত হয়ে উঠেছিল বলে মনে করেছিলেন অনেকে। এদিন ফের কল্যাণ জানিয়ে দিলেন, দলের অন্দরে এখনও এমন কেউ কেউ আছেন, যাঁদের 'ভয়' পান কল্যাণ।


ভিডিও স্টোরি