শেষ আপডেট: 8th November 2024 16:36
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের একাংশের বিরুদ্ধে থ্রেট কালচারে অভিযোগে সম্প্রতি পাল্টা সংগঠন গড়েছেন জুনিয়র চিকিৎসকদের একাংশ। এবার ওই থ্রেট কালচার ইস্যুতে জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের একাংশের বিরুদ্ধে আদালতে সওয়াল করলেন তৃণমূলের সাংসদ-আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
গত ১১ সেপ্টেম্বর বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের সাত ডাক্তারি ছাত্রছাত্রীকে সাসপেন্ড করেছিল কলেজ কর্তৃপক্ষ। তাদের ক্লাস এবং হস্টেলে ঢোকা নিষিদ্ধ করা হয়। ওই মামলায় এদিন কলাকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত সাসপেন্ড হওয়া পড়ুয়াদের ক্লাস করার নির্দেশ দিয়েছেন। তবে এখনি হস্টেলে ঢুকতে পারবেন না ওই ছাত্রছাত্রীরা।
এই প্রসঙ্গে এদিন জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের বিরুদ্ধেই থ্রেট কালচারের বড় অভিযোগ এনেছেন কল্যাণ।
এদিন আদালতে কল্যাণ বলেন, "পড়ুয়াদের সাসপেন্ড করার ক্ষমতা কলেজ কাউন্সিলের নেই। এটা করতে পারে অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল।" এখানেই না থেমে আদালতে তিনি এও অভিযোগ করেন, "আন্দোলনকারীদের থ্রেটের মুখে পড়ে ওই সাত জন ছাত্রছাত্রীকে সাসপেন্ড করতে বাধ্য হয়েছিল কলেজ কর্তৃপক্ষ। এটা কি থ্রেট কালচার নয়?"
কল্যাণ এও বলেন, "৭ জনকে সাসপেন্ড করে দিল অথচ কী অভিযোগ তাই জানে না!" এসময় বিচারপতিকে বলতে শোনা যায়, "ছাত্রদের ক্রমাগত চাপ দেওয়াকেও ব়্যাগিং বলে!"
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবারই এ ব্যাপারে কল্যাণ হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, "থ্রেট কালচার নিয়ে কার কত অভিযোগ কাল দেখাব। সব সামনে আসবে।"
আরজি কর কাণ্ডের জেরে সামনে আসে থ্রেট কালচার। যার জেরে আরজি কর, বর্ধমান-সহ বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ কমিটি গড়ে একাধিক ডাক্তারি ছাত্রছাত্রীকে সাসপেন্ড করেছিল। সম্প্রতি নবান্নে জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে বৈঠক থেকে এ ব্যাপারে বড় প্রশ্ন তুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রীও। আরজি করের অধ্যক্ষর উদ্দেশে জানতে চেয়েছিলেন, "স্বাস্থ্যবিভাগকে না জানিয়ে কীভাবে কলেজ কর্তৃপক্ষ ডাক্তারি ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যত এভাবে নষ্ট করে দিতে পারে?"
সে সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এও বলেছিলেন, "অন্যাকে সমর্থন করার প্রশ্নই নেই। কিন্তু যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারও বক্তব্য তো শোনা দরকার। তাছাড়া তদন্ত ছাড়া এভাবে কোনও পড়ুয়ার ভবিষ্যৎ নষ্ট করে দেওয়া ঠিক নয়।"