শেষ আপডেট: 1st January 2025 15:12
দ্য ওয়াল ব্যুরো: নতুন বছরের প্রথম দিন কল্পতরু উৎসবে যোগ দিতে ভক্তদের ঢল নামল দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে। বছরে প্রথম দিন সকলেই চাইছেন দেবীর দর্শন করে পুজো দিয়ে বছর শুরু করতে। দক্ষিণেশ্বরে মা ভবতারিণী মন্দিরে লক্ষাধিক পুণ্যার্থীর সুরক্ষা দিতে পুলিশি নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের উইনারস টিমকেও রাখা হয়েছিল মহিলা ভক্তদের নিরাপত্তা জন্য।এদিন ভোর চারটে থেকে দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের বাইরে পড়েছে দর্শনার্থীদের লম্বা লাইন। শুধু এই রাজ্যের নয়, অন্যান্য রাজ্যের মানুষও এদিন কল্পতরু উৎসব উপলক্ষে দক্ষিণেশ্বর মা ভবতারিণী মন্দিরে পুজো দিতে আসেন।
১৮৮৬ সালের ১ জানুয়ারি এই উৎসবের সূচনা হয়েছিল। এই দিনেই রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব তাঁর অবতার রূপ প্রকাশ করেছিলেন বলে প্রচলিত বিশ্বাস। বিশেষ এই দিনে তাঁর কাছে ভক্তরা যে যা প্রার্থনা করেছিলেন, সমস্ত মনোবাসনা পূরণ হয়েছিল। এর কিছু মাস পরেই মহাসমাধি হয় পরমহংসদেবের। এরপর থেকেই প্রতি বছর ১ জানুয়ারি কল্পতরু দিবস হিসেবে পালিত হয়।
আজকের দিনে কাশীপুরের উদ্যানবাটিতে কল্পতরু উৎসব পালন হয় ধুমধাম করে। এদিন কয়েক লক্ষ ভক্ত কাশীপুর উদ্যানবাটিতে ঠাকুরের দর্শন করতে যান। বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যোগদান করেন তাঁরা। হাওড়ার বেলুড় মঠেও এদিন জমজমাট ভিড়। ভক্তরা জানান,প্রতিবছরই এই দিনে বেলুড় মঠে আসেন। পাশাপাশি কাশীপুর উদ্যানবাটিতেও যান তাঁরা। এদিন সকাল থেকেই ঠাকুর দর্শনের জন্য মন্দির খুলে দেওয়া হয়েছিল। বেলুড় মঠের সম্পাদক স্বামী সুবীরানন্দজি মহারাজ বলেন, "ভক্তদের জন্য প্রসাদের ব্যবস্থা রয়েছে। এদিন এক লক্ষের উপর ভক্তের সমাগম হয় বেলুড় মঠে।"
বছরের প্রথম দিন কল্পতরু উৎসব উপলক্ষে ভক্তের ঢল নামল হুগলি জেলার জনাই পঞ্চবটি যোগমায়া আশ্রমেও। ভোর থেকেই মঙ্গল আরতির মাধ্যমে পুজোপাঠ শুরু হয়। বছরের প্রথম দিন বেলুড় মঠ, কাশীপুর উদ্যানবাটী ও দক্ষিণেশ্বর, কামারপুকুরের পাশাপাশি জনাই পঞ্চবটি যোগমায়া আশ্রমে ভক্তের ভিড় চোখে পড়ার মতো। নানা মনোবাসনা নিয়ে ভক্তরা আসেন ঠাকুরের কাছে। এই বছর জনাই পঞ্চবটি যোগমায়া আশ্রমের ৫০ তম বর্ষপূর্তি। তাই এবার ভিড়ও বেশি।
যত বেলা বেড়েছে তত ভিড় বেড়েছে বাঁশবেড়িয়া হংসেশ্বরী মন্দিরেও। প্রায় ২১১ বছরের পুরোনো মন্দির। রাজা নৃসিংহ দেবরায় নির্মাণ করেছিলেন এই মন্দির। দক্ষিণাকালী রূপে মায়ের পুজো হয়। প্রতি বছরের মত এই বছরেও জেলা ও জেলার বাইরে থেকে ভক্তরা এসেছেন এখানে পুজো দিতে। এই দিনে মায়ের কাছে যা চাওয়া হয়,তা পাওয়া যায় বলে বিশ্বাস।তাই প্রতি বছর এখানে পুজো দিতে ভিড় জমান ভক্তরা।