শেষ আপডেট: 13th September 2023 11:38
দ্য ওয়াল ব্যুরো: স্কুলের বৈধতা (School Affiliation) নিয়ে দিন কয়েক আগেই বেহালার একটি স্কুল প্রশ্নের মুখে পড়েছিল। ফের শহরের অন্য একটি স্কুলের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ উঠল। মধ্য কলকাতার একটি বেসরকারি স্কুলের দশম শ্রেণির ৩০০ পড়ুয়ার ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়ল। যা নিয়ে ওই স্কুলের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু (Justice Biswajit Basu)।
কী নিয়ে অভিযোগ?
জানা গেছে, মধ্য কলকাতার সেন্ট অগাস্টিন নামে এক বেসরকারি স্কুলে দশম শ্রেণির পড়ুয়াদের রেজিস্ট্রেশন সমস্যা দেখা দিয়েছে। তারপরই কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হন ৭৬ জন অভিভাবক। তাঁদের অভিযোগ, গতবছর ১৩ জুলাই নবম শ্রেণিতে ছাত্রছাত্রীরা রেজিস্ট্রেশন করেছিলেন বোর্ড পরীক্ষার জন্য। স্কুলে সেই টাকা জমা দেওয়া হয়েছিল। এবছর তাদেরই বোর্ড পরীক্ষা। নিয়মানুযায়ী, আগামী বছর ২৩ মার্চ পর্যন্ত এই রেজিস্ট্রেশনের অন্তর্ভুক্ত থাকার কথা। কিন্তু এমন অবস্থায় স্কুল জানাচ্ছে, তারা কোনও তথ্য পায়নি।
বুধবার আবেদনকারীদের পক্ষের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় আদালতে জানান, স্কুল এখন জানাচ্ছে যে তারা অনুমোদিত নয়। অধিকাংশ অভিভাবক বিনা নিদ্রায় রাত্রি কাটাচ্ছেন। রাজ্য টাকা নেয় না। রাজ্যের দায়িত্ব নয়।
যা শুনে বিচারপতি বসু কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রশ্ন করেন, টাকা না নিলেই কি দায়িত্ব এড়াতে পারে রাজ্য? যদিও স্কুলের আইনজীবীর বক্তব্য, 'সামনে আইসিএসসি পরীক্ষা আছে। কাউন্সিল রেজিস্ট্রেশন করতে হবে এবার। কিন্তু বোর্ড আমাদের বৈধতা দিচ্ছেন না। সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে।'
বিচারপতির প্রশ্নের উত্তরে স্কুলের আইনজীবী বলেন, 'এটা কোনওভাবে মিস হয়েছে। যে বিল্ডিংয়ে স্কুল রয়েছে সেখানে সিসি ক্যামেরা নেই। বাড়ির বেশিরভাগ অংশ ভেঙে পড়েছে। এই অবস্থায় আমরা চাইছি স্কুল অন্য বাড়িতে নিয়ে যেতে।'
বিচারপতি বলেন, 'এর দায় কার? পড়ুয়ারা ভোগান্তিতে পড়েছে। এতে এফআইআর করা প্রযোজ্য। এই স্কুলের পরিচালন কমিটির প্রত্যেক সদস্যকে আসতে হবে আদালতের সামনে। সিসি ক্যামেরা নেই এমন বাড়িতে স্কুল চলছে এটা একটা ক্রিমিনাল অফেন্স। স্বাভাবিকভাবেই বোর্ড এমন স্কুলকে অনুমোদন দেবে না।'
বিচারপতি স্কুলের উদ্দেশে আরও বলেন, 'স্টুডেন্টদের হতে প্ল্যাকার্ড ধরিয়েছেন আপনারা। ওদের পেন ছাড়িয়ে প্ল্যাকার্ড ধরে ধর্না দিতে শিখিয়েছেন আপনারাই। আপনাদের দায়িত্বহীনতা ওদের এটা করতে বাধ্য করেছে।'
হাইকোর্ট বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য একজন স্পেশাল অফিসার হিসেবে নিযুক্ত করে। বিচারপতি নির্দেশ দেন, উনি (স্পেশাল অফিসার) স্কুলে গিয়ে সমস্যার কথা শুনে সেখানকার পরিস্থিতি সোমবার আদালতে জানাবেন। তারপর সিদ্ধান্ত নেবে আদালত। আগামী ২১ সেপ্টেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে।
আরও পড়ুন: সাসপেন্ড করে কী হবে? পুলিশ-অপরাধী যোগসাজশ ভাঙতে কড়া পদক্ষেপের ইঙ্গিত বিচারপতির