শেষ আপডেট: 1st September 2023 09:53
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বেহালার বিবেকানন্দ পল্লী কিশোর ভারতী উচ্চবিদ্যালয়ের নাম অনেকেই জানেন। অনেক পরিবারের ছেলেমেয়েরাই এই স্কুল থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেছেন। কিন্তু কলকাতার উপকণ্ঠে ৩২ বছর ধরে সরকারি অনুমোদন ছাড়াই চলছে স্কুলটি! এমন অভিযোগে শুক্রবার সরগরম হয়ে ওঠে হাইকোর্ট (Calcutta High Court)।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে ওই স্কুলের থেকে অবসর নেন ধারা বন্দোপাধ্যায় নামে এক শিক্ষিকা। কিন্তু পেনশন পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেন তিনি। এমনকী মধ্যশিক্ষা পর্ষদেও এই বিষয়টি জানান তিনি। সুরাহা না পেয়েই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি।
শুক্রবার বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর (Justice Biswajit Basu) এজলাসে সেই মামলার শুনানি ছিল। সেখানে মামলাকারীর পক্ষের আইনজীবী জানান, পর্ষদে গিয়ে তাঁর মক্কেল জানতে পারেন ওই স্কুলের অনুমোদনের পুনর্নবীকরণ সংক্রান্ত ১৬০০০ টাকা বকেয়া রয়েছে। ওই টাকা পেলেই পর্ষদ পরবর্তী পদক্ষেপ করতে পারবে।
তিনি আরও বলেন, মধ্যশিক্ষা পর্ষদই বা কী করছিল? এত বছরে তো হাজার হাজার পড়ুয়া ওই স্কুল থেকে মাধ্যমিক পাশ করেছে, তারা যদি বাইরে পড়তে যায় এবং সেই বিশ্ববিদ্যালয় যদি স্কুলের অনুমোদন সংক্রান্ত তথ্য অনুসন্ধান শুরু করে তাহলে তো বিপদে পড়বে পড়ুয়ারা।
এদিন আদালতে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের আইনজীবী জানান, 'এরকম অনেক স্কুল আছে। নিয়ম অনুযায়ী প্রথমে অস্থায়ী অনুমোদন দেওয়া হয় এবং পরবর্তী ক্ষেত্রে স্কুলের আবেদনের ভিত্তিতে স্থায়ী অনুমোদন দেওয়া হয়। এই স্কুল হয়তো সেই আবেদন করেনি।' যা শুনে বিচারপতি মন্তব্য করেন, 'এটা তো অত্যন্ত চিন্তার বিষয়!'
মামলাকারীর অভিযোগের উত্তরে পর্ষদ এদিন আদালতে জানায়, অনুমোদনের জন্য পেনশন আটকে থাকতে পারে না। সব পক্ষের সওয়াল জবাব শেষে বিচারপতি পর্ষদকে নির্দেশ দেন, এই সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য আদালতে জমা করতে হবে। আগামী ১২ সেপ্টেম্বর এই মামার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: 'যিনিই আচার্য, তিনিই কীভাবে উপাচার্য হবেন?', প্রশ্ন তুলে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার হুঁশিয়ারি ব্রাত্যর