শেষ আপডেট: 3 March 2024 21:05
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মার্চের নিস্তরঙ্গ রবিবার দুপুরে রীতিমতো বিস্ফোরণ ঘটিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি ঘোষণা করেছেন যে মঙ্গলবার বিচারপতির পদ থেকে তিনি ইস্তফা দেবেন। তার পর তিনি রাজনীতিতে নেমে পড়বেন।
এখন কোটি টাকার প্রশ্ন হল, কোন রাজনৈতিক দলে যোগ দিতে পারেন তিনি?
বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসে যে অন্তত যোগ দেবেন না তা তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন। তাঁর কথায়, “বাংলার শাসকদলের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেই তো রাজনীতিতে নামছি। ওরাই চ্যালেঞ্জ করছিল যে ক্ষমতা থাকলে যেন রাজনীতিতে নেমে পড়ি। তাই ওই দলে যোগ দেওয়ার কোনও প্রশ্নই ওঠে না”। এখানেই না থেমে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “ইতিহাসে আমরা মৌর্য্য সাম্রাজ্যের কথা পড়েছি। আর এখন দেখছি চৌর্য সাম্রাজ্য”।
তবে গেরুয়া শিবিরের একটি সূত্র থেকে দাবি করা হচ্ছে, ৬ তারিখ বুধবার বারাসতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভায় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় আনুষ্ঠানিক ভাবে বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন। সম্ভবত সেই কারণেই তিনি মঙ্গলবার ইস্তফা দিচ্ছেন। যাতে এক দিন পর বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন।
বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে রাজ্য বিজেপির দু-এক জন নেতা ব্যক্তিগত স্তরে সম্পর্ক রেখে চলেন বলে আগেই জানা গিয়েছিল। সূত্রের মতে, তাঁকে পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক লোকসভা আসন থেকে প্রার্থী করা হতে পারে।
তবে এ ব্যাপারে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “আমার এসব কিছু জানা নেই। আমি এ নিয়ে কিছু বলতে পারব না।” অন্যদিকে বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, উনি বিজেপি এলে স্বাগত। তাতে বাংলায় বিরোধী রাজনীতি আরও শক্তিশালী হবে। রাজ্যের রাজনীতিও সমৃদ্ধ হবে।
অগস্ট মাসে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের অবসর গ্রহণের কথা ছিল। অর্থাৎ তাঁর কর্মজীবন অগস্টে শেষ হওয়ার কথা। মানে আর ৬ মাসও বাকি নেই। তার আগে তিনি যখন মার্চ মাসে ইস্তফা দিতে চলেছেন, তাতেই বোঝা যাচ্ছে লোকসভা ভোটে প্রার্থী হবেন তিনি। এখন দেখার সত্যিই কোন রঙেতে গা ভাসান প্রতিবাদী এই মুখ।