শেষ আপডেট: 18th September 2024 11:48
দ্য ওয়াল ব্যুরো: কর্মবিরতি তুলে নেওয়া দূরস্থান। আরও কঠোর দরকষাকষির পথে হাঁটছেন জুনিয়র ডাক্তাররা।
মুখ্য সচিব মনোজ পন্থের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চেয়ে বুধবার ফের তাঁরা চিঠি পাঠালেন নবান্নে। জুনিয়র ডাক্তারদের বক্তব্য, তাঁদের পাঁচ দফা দাবির মধ্যে চার ও পাঁচ নম্বর পয়েন্টের এখনও পুরোপুরি নিষ্পত্তি হয়নি।
জুনিয়র ডাক্তাররা জানিয়েছেন, গত সোমবারের বৈঠকে স্থির হয়েছিল রাজ্যের সরকারি হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজগুলির নিরাপত্তা ও সুরক্ষা বাড়াতে একটি টাস্ক ফোর্স গঠন করা হবে। সেই টাস্ক ফোর্সের নেতৃত্বে থাকবেন মুখ্য সচিব। কীভাবে তার গঠন হবে, কে কে থাকবে এখনও ঠিক হয়নি। সেই টাস্ক কাজ কী হবে তা নিয়েও আলোচনা জরুরি। সেই কারণে বুধবারই বৈঠক চেয়ে মুখ্য সচিবের কাছে ইমেল পাঠিয়েছেন তাঁরা।
সরকারি হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজগুলোতে সুরক্ষা পরিকাঠামো বাড়াতে সরকার কী কী ব্যবস্থা নিচ্ছে তা মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে জানিয়েছেন রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিবাল। সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে সাত থেকে চোদ্দ দিনের মধ্যে তা শেষ করতে হবে। তবে সরকারি হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজে সরকার প্রাইভেট সিকিউরিটি নিয়োগের যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তা নিয়ে সমালোচনা করেছে সুপ্রিম কোর্ট। ভলান্টিয়ারের পরিবর্তে নিরাপত্তা দায়িত্ব দিতে বলেছে পুলিশকে।
জুনিয়র ডাক্তারদের বক্তব্য, এখনও পর্যন্ত যে নিরাপত্তার কথা সরকার বলছে তা থিওরেটিকাল তথা তাত্ত্বিক। মেডিকেল কলেজে হুমকির সংস্কৃতি ও পরিবেশে লাগাম টানতে যে ধরনের সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থা ও নজরদারি থাকা উচিত তা সরকারি প্রস্তাবে নেই। অনেক ধোঁয়াশা রয়েছে। জুনিয়র ডাক্তাররা কাজে ফেরার আগে দেখে নিতে চান, তাঁদের কর্মস্থল সত্যিই নিরাপদ কিনা।
তবে সরকারের শীর্ষ সূত্রে বলা হচ্ছে, এ হল চাপের কৌশল। জুনিয়র ডাক্তারদের সংগঠনে এখন নানা মুনি ও তাঁদের নানা মত। অধিকাংশ জুনিয়র ডাক্তার কাজে ফিরতে চান। কিন্তু কিছু বামপন্থী ও উগ্র বামপন্থী সংগঠন তাঁদের পিছন থেকে ইন্ধন দিচ্ছেন। তাঁদের উদ্দেশ্যই হল, অচলাবস্থা জিইয়ে রাখা এবং অরাজক পরিস্থিতি তৈরি করা। কারণ, আরজি করের ঘটনার পর হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজগুলিতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়াতে সরকার এখন সর্বোচ্চ আদালতের কাছেও দায়বদ্ধ। তা জেনে বুঝেও খামোখা অস্থিরতার পরিবেশ তৈরি করে রাখা হচ্ছে বলে তাঁদের মত।