শেষ আপডেট: 7th November 2024 21:36
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে ফের একবার আরজি কর মামলার শুনানি ছিল। কিন্তু এই শুনানি নিয়েও খুব একটা খুশি নন প্রতিবাদী জুনিয়র ডাক্তাররা। এদিকে আশাহত হওয়ার কথা আগেই জানিয়েছিলেন নির্যাতিতার বাবা-মাও। তাই 'সুপ্রিম' শুনানি হয়ে যাওয়ার পর রাতেই সোদপুরে নির্যাতিতার বাড়ি গেছিলেন জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের প্রতিনিধিরা। বাবা-মা কেমন আছেন সেই খোঁজখবর নেন তাঁরা।
বিক্ষোভ-অবস্থান থেকে অনশন, এতদিনে সবকিছুই করেছেন জুনিয়র ডাক্তার কিঞ্জল, অনিকেত, দেবাশিসরা। পাশাপাশি রাজ্য সরকারের সঙ্গে একাধিক বৈঠকও হয়েছে। তাঁদের মূল যে দাবি ছিল তার কিছু পূরণ হলেও এখনও একাধিক দাবি পূরণ হওয়া বাকি। তা আদৌ পুরণ হবে কিনা বা হলে কবে হবে, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে ডক্টরস ফ্রন্ট। নির্যাতিতার বাড়ি থেকে বেরিয়েও তাঁরা এই ইস্যুতে মুখ খোলেন। একই সঙ্গে জানান, তাঁদের সহকর্মীর বাবা-মার মানসিক পরিস্থিতি একেবারে ভাল নয়।
সংবাদমাধ্যমে দেবাশিস বলেন, সরকারের তরফে দাবি পূরণের যে চেষ্টা করা হচ্ছে তা ইতিবাচক ইঙ্গিত দিচ্ছে। কিন্তু আদতে তা কতটা বাস্তবায়ন হবে তাতে সন্দেহই থেকে যাচ্ছে। এদিকে তাঁরা এও জানান, আগামী দিনে পরপর কর্মসূচিও রয়েছে তাঁদের। মিছিল থেকে শুরু করে আরও অনেকভাবে এই আন্দোলনকে তাঁরা এগিয়ে নিয়ে যাবেন। বৃহস্পতিবারই ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজের ডাক্তার দীপ্র ভট্টাচার্যের রহস্যমৃত্যুর ঘটনা সামনে এসেছে। তা নিয়েও মন্তব্য করেন দেবাশিসরা।
'গোটা ঘটনা ঠিক কী হয়েছে এখনও জানি না, তবে নজর থাকছে।' ঝাড়গ্রামের ঘটনা নিয়ে এমনই প্রতিক্রিয়া দেন দেবাশিস। এও জানান, শুধু ঝাড়গ্রাম বলে নয়, অন্যান্য একাধিক জেলার মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালগুলিতেই কাজের কারণে হোক বা অন্য কোনও কারণে জুনিয়র ডাক্তারদের মানসিক স্থিতি ভাল থাকে না। এক্ষেত্রেও তাই হয়েছে কিনা সে ব্যাপারে এখনও কিছু বলা ঠিক নয়।
নিহত ডাক্তারের মোবাইল থেকে একটি মেসেজ অনেকগুলো নম্বরে ফরোয়ার্ড করা হয়েছে বলে দাবি করছে ডাক্তারদের একাংশ। তাঁর পাঠানো সেই মেসেজ ঘিরেই রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে। দীপ্র মৃত্যুর আগে ওই মেসেজের মাধ্যমে 'থ্রেট কালচার' নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন বলে দাবি উঠছে। যদিও এই মেসেজ আদৌ দীপ্রর মোবাইল থেকেই করা হয়েছিল কি না, তা এখনও নিশ্চিত করেনি পুলিশ।